বেহালে দামুড়হুদা টেলিফোন অফিস

Slider সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

ঢাকা:বেহালে দামুড়হুদা টেলিফোন অফিস

বেহালে রয়েছে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় টেলিফোন অফিস। এক সময় এ উপজেলার অনেক বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং অফিসে ব্যবহৃত হতো টেলিফোন। বর্তমানে মুঠোফোনের নিচে চাপা পড়েছে তা।

দামুড়হুদায় টেলিফোন সংযোগ ১৮০টির জায়গায় এখন মাত্র ৬৫টি। তার ওপর লোকবল সংকটের কারণে গ্রাহকসেবা নেই বললেই চলে।

উপজলা সদরে রয়েছে দুইতলা বিশিষ্ট অফিস ভবন। ১৯৮৩ সালে ম্যাগনো-২ টেলিফোন চালু হয় এখানে। ওই সময় সংযোগ ছিল ৭০টি। এরপর ২০০৭ সালে ডিজিটালে রূপান্তিারিত হওয়ার পর গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮০-তে। বিটিসিএল কম্পানির টেলিফোন অফিসটিতে লোকবল ছিল অপারেটর তিনজন, লাইনম্যান একজন এবং বার্তা বাহক একজন। বর্তমানে একজন অপারেটর একজন লাইনম্যান ও একজন বার্তাবাহক দিয়ে চলছে অফিসের কাজ।

টেলিফোন অফিসের অপারেটর নুরজাহান খাতুন বলেন, দামুড়হুদা ডিজিটাল এক্সচেঞ্জটিতে প্রায় ৩০০ সংযোগ দেওয়ার সক্ষমতা থাকলেও প্রায় ৫০টি অকেজো হয়ে আছে। ডিজিটাল হওয়ার পর টেলিফোনের সঙ্গে ফ্যাক্স মেশিন ব্যবহার করার সুবিধা থাকায় অনেক গ্রাহকের আগ্রহ ছিল। মুঠোফোন ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে টেলিফোনের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে গ্রাহকরা।

এ ছাড়া জরুরি প্রয়োজনে বেশির ভাগ সময় সংযোগ নষ্ট থাকার মতো ঘটনা ঘটতে থাকায় মেরামত করতে বিলম্ব হওয়ার কারণে অনেক গ্রাহক আগ্রহ হারিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। বর্তমানে এখানে ৬৫টি সংয়োগ রয়েছে যার প্রায় সবই সরকারি অফিসে। এর মধ্যে পাঁচটি অকেজো। টেলিফোন শিল্পকে আবারও আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন প্রয়োজন।

লাইনম্যান দুলাল হোসেন বলেন, মাটির নিচ দিয়ে ছড়ানো সংযোগের তার রাস্তা মেরামতসহ বিভিন্ন কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে তা মেরামত করা দুরূহ হয়ে পড়ে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার স্থান খুঁজে পেতে সময় লেগে যায়। জনবল কম হওয়ায় তাঁকে একা এসব কাজ করতে হয়। জনবল বাড়ালে ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বাড়ালে দ্রুত মেরামত কাজ সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *