ফরাসী আল্পসে প্রচণ্ড তুষারঝড়ে প্রায় ১৫ হাজার গাড়ি চালক আটকা পড়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে কর্তৃপক্ষ জরুরি আশ্রয় শিবির খুলতে বাধ্য হয়েছে। ভ্রমণকারীদের ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
ফ্রান্সের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সাভোই এলাকার স্কি রিসোর্টে প্রবল তুষারপাত হয়েছে। এ কারণে এখানে যারা ছুটি কাটাতে এসেছিলেন তারা দ্রুত স্কি রিসোর্ট ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ অন্তত ১২টি শহরে আশ্রয় শিবির খুলেছে। খবর এএফপি’র।
তুষারপাত ও হিম শীতল বৃষ্টিপাতের কারণে পার্বত্য বেলেদোনে এলাকায় ২৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মারা যান। পিচ্ছিল রাস্তা থেকে তার গাড়ি ছিটকে খাদে পড়লে এ ঘটনা ঘটে। খবর এএফপি’র।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার্নার্ড কাজেনিউভে এক বিবৃতিতে গাড়ির চালকদের ‘সাবধাণতা অবলম্বন করতে বলেছেন’ এবং কেউ যদি তার যাত্রা পেছাতে পারেন তবে তা করার জন্য বলা হয়েছে।
ফ্রান্স এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার প্রেক্ষিতে ১৯টি অঞ্চলে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করেছে। ফ্রান্সের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, তারা আরো তুষারপাতের আশঙ্কা করছে।
ফ্রান্সের অন্যান্য স্থানে প্রবল বাতাস বয়ে চললেও তুষারপাত হয়নি।
ঝড়টি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাচ্ছে। এর কারণে ইংলিশ চ্যানেলে অবস্থিত ফ্রান্সের ক্যালাই বন্দর সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ব্রিটেনের সঙ্গে সমস্ত গাড়িবাহী ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এই উত্তরাঞ্চলীয় শিল্প নগরীর কয়েক কিলোমিটার বাইরে অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে অবৈধ অভিবাসীরা প্রচণ্ড ঠান্ডায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছে। তারা সেখানে দ্বিতীয় হিম শীতল রাত অতিবাহিত করছে।
অবৈধভাবে ব্রিটেনে প্রবেশের জন্য কালাই ও এর আশপাশের এলাকাগুলোতে আসা ২ হাজার ৩শ’ অভিবাসী এই প্রচণ্ড শীতের মধ্যে পাতলা কাগজের তৈরি তাঁবুর নিচে আশ্রয় নিয়েছে।