ছাত্রদলের কমিটিতে পদ পেতে বিবাহিতদের অনশন

Slider জাতীয় রাজনীতি


ঢাকা: ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদের জন্য আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছে সংগঠনটির সদ্য বিদায়ী কমিটির বিবাহিত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। তাদের দাবি, ছাত্রদলের রাজনীতি করার সব যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও রাজপথের ত্যাগী, নির্যাতিত ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের শুধুমাত্র বিবাহিত এই অজুহাতে সংগঠনের আসন্ন পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে বাদ দেয়ার চক্রান্ত হচ্ছে।

আজ বেলা সাড়ে ১১টা থেকে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রবেশ মুখে তারা অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।

আমরণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী ছাত্রদলের সদ্য বিদায়ী কমিটির সহ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় গত ১৮ই সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের বিবাহিত কেউ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হতে পারবে না। তার নির্দেশ মেনে আমরা কাউন্সিলে সহযোগিতা করি। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে বিবাহিতদের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতেও রাখা হবে না।

ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ার আগে আপনার কিভাবে বুঝলেন যে বিবাহিতদের রাখা হচ্ছে না কমিটিতে- এমন প্রশ্নের জবাবে নিজাম উদ্দিন বলেন, আমার গত কয়েকদিন ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সম্পাদক ইকবাল হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছি, তারা আমাদের বলে দিয়েছে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বিবাহিত রাখা হবে না।

বিবাহিত ছাত্রদলের নেতাকর্মী বলছে, আমরা আজকে বাধ্য হয়ে আমরণ কর্মসূচি পালন করছি। এই কর্মসূচি পালন করার আগে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছি, কিন্তু কেউ আমাদের সুস্পষ্ট আশ্বাস দিতে পারেনি।
তাই আমাদের রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করতে কর্মসূচি পালন করছি।

নিজাম উদ্দিন বলেন, গতকাল আমরা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে বৈঠক করেছি, কিন্তু তিনি আমাদের সুস্পষ্ট কোনও আশ্বাস দিতে পারেননি। এ কারণে বাধ্য হয়ে কর্মসূচি পালন করছি।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সহ-সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান সোহেল বলেন, বিবাহ বিষয়টা একান্তই ব্যক্তিগত। এটা কখনো সংগঠন পরিপন্থী হতে পারে না। তবে বিবাহিত কোন ছাত্রনেতা যদি অন্যান্য অবিবাহিত নেতাদের চেয়ে সংগঠনে বেশি সময় দিতে পারেন এবং ত্যাগ-শ্রম দিতে পারেন তাহলে সংগঠন কেন তাকে বঞ্চিত করবে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাহিদুর রহমান বলেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। শুধুমাত্র বিবাহিত অভিযোগে কমিটিতে আমাদের রাখা হচ্ছে না। তাহলে এখন আমার কোথায় যাবো? আর ছত্রদলের গঠনতন্ত্রে কোথাও লেখা নেই বিবাহিতরা সংগঠন করতে পারবে না।

উল্লেখ্য, গত ১৮ই সেপ্টেম্বর রাতে ২৮ বছর পর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলদের প্রত্যক্ষ ভোটে সংগঠটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয় ফজলুর রহমান খোকন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয় ইকবাল হোসেন শ্যামল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *