খেলা: ২১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের টালমাটাল অবস্থার শুরু। এরপর প্রতিদিন কিছু না কিছু দুর্যোগের ঘনঘটা ক্রিকেটাঙ্গনে। একের পর এক দু:সংবাদ। তবে সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ হচ্ছে ১৮ মাসের জন্য জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হতে পারেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) অফিসিয়ালি না জানালেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বিষয়টি অস্বীকার করেননি। এই বিষয়ে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি বলেন, ‘আইসিসি যে সিদ্ধান্ত নিক না কেন সাকিবের পাশেই থাকবেন তিনি। আসলে এটা যেহেতু আইসিসি নিজেদের তত্ত্বাবধায়নে রেখেছে সেহেতু আমাদের আপাতত এখানে হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই।
তবে এই বিষয়টি আমরা নিজেদের মনিটরিংয়ে রেখেছি।’ আর বিসিবি সভাপতিকে সাকিবের বিষয়টি গুরুত্ব নিয়ে দেখতে বলা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘খেলোয়াড়রা দেশের সম্পদ তাদের রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের। সাকিব অন্যায় করেছে কিনা, করলে আইসিসি সিদ্ধান্ত নিলে, তার বিরুদ্ধে কথা বলা যায়না। তবে সাকিবের পাশে সব সময় বিসিবি আছে এবং থাকবে। এরইমধ্যে বিসিবি সভাপতিকে বলা হয়েছে, অন্যায়ভাবে যেন শাস্তি পেতে না হয় সাকিবকে।’ আন্দোলনের সঙ্গে এর কোনো যোগসাজশ আছে কিনা এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী উত্তর দেন, ‘ খেলোয়াড়রা আন্দোলনে গিয়েছিল, সেটি সমাধান হয়েছে। তার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। সাকিবের বিষয়টি অনেকদিন ধরে আইসিসি তদন্ত করছিল আমারও বিষয়টি জানা ছিল না। বোর্ড বলেছে, তারাও জানতেন না। সাকিব বিষয়টি হালকাভাবে নিয়েছিল, কিন্তু এতো দূর আগাবে বুঝতে পারেনি।’
দুই বছর আগে আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালীন জুয়াড়ির কাছ থেকে প্রস্তাব পান সাকিব। সেই প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখ্যান করলেও নিয়ামানুযায়ী আইসিসিরি দুর্নীতি দমন বিভাগকে (আকসু) তা না জানিয়ে গোপন রেখেছিলেন। বিষয়টি পরে আইসিসির নজরে আসে। তারা অনুসন্ধানে জানতে পারে ওই জুয়াড়ি আইসিসির কালো তালিকায় থাকাদের একজন। সাকিব আইসিসিকে না জানানোর ফলে এই নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবেন। আজ বা কালকের মধ্যে এই বিষয়ে অফিসিয়ালি জানানো হবে আশা করা যাচ্ছে।