ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো গুজব প্রতিরোধে সাংবাদিকদের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, এসব গুজব বিভিন্ন বিষয়ে লোকদের বিভ্রান্ত করে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য অথবা গুজব ছড়ালে সাংবাদিকরাই এ থেকে লোকদের রক্ষা করতে পারেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক সেন্টার (টিএসসি) মিলনায়তনে ‘গুজব প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ জার্নালিজম স্টুডেন্ট কাউন্সিল (বিজেএসসি) দ্বিতীয় ন্যাশনাল জার্নালিজম স্টুডেন্ট ফেস্ট শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত সাংবাদিকতা বিভাগের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্রছাত্রী এ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান কাজী আবদুল মান্নান, সাবেক সচিব আবু আলম শহিদ খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমীন, বাসস-এর সিটি এডিটর মধুসূদন মন্ডল, বিএফইউজে’র দফতর সম্পাদক বরুন ভৌমিক নয়ন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ আদনান ফাহাদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজেএসসি সভাপতি সনজিত সরকার উজ্জল। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সাংবাদিকতা ও যোগাযোগ আধুনিকীকরণ ও উন্নয়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে, তবে গুজব এই অগ্রগতি নস্যাৎ করে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের সমাজের ওপর গুজবের তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো গুজবের কারণে ভোলায় সংঘটিত অপ্রত্যাশিত ঘটনার অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় অপপ্রচার হয় না বরং এটা প্রতিরোধ করে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ভুয়া খবর অথবা গুজব কেবল বাংলাদেশেই নয় বিশ্বেই একটা বিরাট সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এটা মুক্ত সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে। সরকারের উচিত শিগগিরই গুজব নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহণ করা।