ঢাকা: মহাজোট সরকারের অন্যতম শরিক ওয়ার্কাস পার্টির নেতা রাশেদ খান মেনন ১৪ দলের চিঠির জবাব দেবেন। ১৪ দলের চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন তিনি সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন? গত নির্বাচন নিয়ে বিরূপ মন্তব্যই বা করেছেন কেন? গেল সপ্তাহে রাশেদ খান মেনন আচমকা বরিশালের এক সমাবেশে বলেন, গত নির্বাচনে জনগণ ভোঠ দিতে পারেনি। আমি এমপি হয়েও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, দেশের কোনো জনগণ ভোট দেয়নি। কারণ ভোটাররা ভোট কেন্দ্রেই আসতে পারেননি। তিনি বলেন, সরকার ভোটাধিকার হরণ করে উন্নয়নের রোল মডেল প্রচার করছে। কিন্তু উন্নয়নের নামে দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করা হয়েছে। এই বক্তব্যের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগের নেতারা। জোট শরিকরাও হতাশা ব্যক্ত করেন।
১৪ দলের বৈঠক ডেকে মোহাম্মদ নাসিম এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান। জোটের একাধিক বৈঠক হলেও রাশেদ খান মেনন উপস্থিত ছিলেন না। এই যখন অবস্থা তখন সরকারের দুজন প্রতিনিধি রাশেদ খান মেননের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জানতে চান কেন তিনি এ অবস্থান নিলেন? নানা সূত্রে জানা যায়, মেনন তাদের বলেছেন, ক্যাসিনো অভিযানে তার নাম প্রায় প্রতিদিনই আসছে সংবাদ মাধ্যমে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বরাতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে। অথচ তিনি একজন জোট শরিক। বিকল্প না পেয়ে তিনি তার রাজনৈতিক অবস্থান তুলে ধরেন। বলা যেতে পারে এটা একটি কৌশল। সরকার বা জোট যদি তাকে কোন প্রটেকশন না দেয় তখন তার আর কি করার ছিল? বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত গড়ায়। শেষমেষ সিদ্ধান্ত হয়, সরকার এ নিয়ে আর কোনো কথা বলবে না। মেননও তার অবস্থান পরিষ্কার করবেন। ওয়ার্কাস পার্টির সূত্র জানায়, মেনন তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করবেন এবং ক্ষমা চাইবেন। সেটা হবে দুই একদিনের মধ্যেই। উল্লেখ্য যে, মেননের বিরুদ্ধে ক্যাসিনোকাণ্ডের নানা অভিযোগ থাকায় মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছিল র্যাব।