প্রাথমিকের শিক্ষকদের মহাসমাবেশে পুলিশের বাধা

Slider জাতীয় শিক্ষা


ডেস্ক | কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার চেষ্টা করা হয়। এরই মধ্যে এক শিক্ষক অচেতন হয়ে পড়েন। পরে ওই শিক্ষককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। গ্রেড পরিবর্তন ও বেতন বৃদ্ধির দাবিতে এ মহাসমাবেশের ডাক দেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

সকাল থেকেই সমাবেশে যোগ দিতে হাজার হাজার শিক্ষক শহীদ মিনারে যাচ্ছিলেন। এ সময় সমাবেশস্থলে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয় এবং ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

আজ দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় শিক্ষকরা শহীদ মিনারের সামনে থেকে সরে গিয়ে পাশেই অবস্থান নেন।
পুলিশের বাধার মুখে আন্দোলনরত শিক্ষকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে দুই ভাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের বহির্বিভাগের সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। পুলিশও দুই ভাগে শিক্ষকদেরকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন।

এ সময় বিক্ষোভরত এক শিক্ষককে পুলিশ আটক করার চেষ্টা করলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে কয়েকজন শিক্ষক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান।

এর আগে আজ সকাল থেকে শিক্ষকরা সমাবেশে আসতে শুরু করেন। প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ছামছুদ্দীন মাসুদ জানিয়েছেন প্রায় ১০ হাজার শিক্ষক তাদের সঙ্গে আছেন। আরও শিক্ষক এই সমাবেশে যোগ দিতে পথে আছেন।

তিনি আরও জানান, সারাদেশ থেকে আগত শিক্ষকরা সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শহীদ মিনারের দিকে যাত্রা শুরু করলে কার্জন হলের সামনে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় শিক্ষকরা সেখানে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থানের পর পুলিশ সরে গেলে তারা শহীদ মিনারের দিতে যাত্রা করেন।

ওই সময় ছামছুদ্দীন মাসুদের অভিযোগ ছিলো, তাদের আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ সমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

তবে শিক্ষকদের এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই শহীদ মিনার ও আশপাশের রাস্তায় বিপুল সংখ্যক পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা অবস্থান নেন। তারা শিক্ষকদের শহীদ মিনারে প্রবেশে বাধা দেন।

গতকাল মঙ্গলবার আন্দোলনকারী ২৫ প্রাথমিক শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।

প্রধান শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেলের দশম গ্রেডে ও সহকারি শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন দেয়ার দাবিতে গত ১৪ই অক্টোবর সারা দেশের ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হয়। পরদিন ১৫ই অক্টোবর পালন করা হয় তিন ঘণ্টার কর্মবিরতি। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বাদ রাখেন শিক্ষকরা। ১৬ই অক্টোবর এসব বিদ্যালয়ে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন তারা। এরই অংশ হিসেবে গত ১৭ই অক্টোবর পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতিতে যান শিক্ষকরা।

দাবি আদায় না হলে সমাপনী পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণাও দিয়ে রেখেছেন আন্দোলনকারী এই শিক্ষকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *