ডেস্ক | বিদ্রোহ ও বিক্ষোভে উত্তাল কাশ্মীরে একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচ জন। বুধবার বিচ্ছিন্ন জঙ্গি হামলা ও পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান তারা। আগস্টে স্বায়ত্ত্বশাসনের অধিকার হারানোর পর থেকে অঙ্গরাজ্যটিতে একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানীর ঘটনা এটি। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
খবরে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে দুজন ‘নন-কাশ্মীরি’ রয়েছেন। এদের মধ্যে একজন ছিলেন পাঞ্জাবের এক আপেল ব্যবসায়ী ও অপরজন ছিলেন, একজন অভিবাসী শ্রমিক। তারা যথাক্রমে শোপিয়ান ও পুলওয়ামায় সন্দেহভাজন জঙ্গি হামলায় নিহত হন। হামলায় অপর এক আপেল ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। তার অবস্থা গুরুতর।
এছাড়া, বুধবার সকালের দিকে বিজবেহারা শহরের নিকটে বিদ্রোহী সন্দেহে তিন জনকে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।
উল্লেখ্য, ভারতে গত ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্ত্বশাসন প্রত্যাহার করে নেয় ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। সেদিন থেকেই অঞ্চলটি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। স্বায়ত্ত্বশাসন প্রত্যাহারের আগ দিয়ে গ্রেপ্তার ও আটক করা হয় কয়েকশ’ স্থানীয় নেতা ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের। ৭২ দিন পর্যন্ত বন্ধ ছিল ইন্টারনেট ও মোবাইল সেবা। গত সোমবার মোবাইল সেবা ফিরিয়ে দেয়া হয় তবে এখনো বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট সেবা। স্বায়ত্ত্বশাসন রদের ঘোষণা দেয়ার আগ দিয়ে স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল মুজাহিদিন হুমকি দিয়েছিল যে, তারা অঞ্চলটিতে প্রবেশকারী ভারতীয়দের ওপর হামলা চালাবে। ভারত সরকারের দাবি, কাশ্মীরে উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অঙ্গরাজ্যটির স্বায়ত্ত্বশাসনের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি, অঞ্চলটিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার দাবিও করেছে তারা।
তবে একাধিক বিশেষজ্ঞ বুধবারের প্রাণহানীর ঘটনায় ভারত সরকারের দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। নিরাপত্তা, উন্নয়ন, অর্থনৈতিক বিষয় বিশ্লেষণকারী বেসরকারি সংগঠন বেসরকারি অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ‘এসোসিয়েট ফেলো’ খালিদ শাহ বলেন, সরকারের দাবি ¯পষ্টভাবে মিথ্যা প্রমাণিত হচ্ছে। আমার ধারণা, সেখানে সহিংসতা আরো বাড়বে, কমবে না।