নম্বর টেম্পারিং ও থিসিস জালিয়াতির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শনিবার দুপুর ১টার দিকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে তারা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
এতে ফলিত বিভাগের মাস্টার্সের এসএম সাদেক আরাফাত, সাইজিদ হোসেন শিমুল, দ্বিতীয় বর্ষের সুমন রেজা, মিতুলসহ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফলিত গণিত বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থীদের অবমূল্যায়িত করতে নম্বর টেম্পারিং ও থিসিস জালিয়াতি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে লিখিত অভিযোগসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অদৃশ্য কারণে আজো কর্ণপাত করেনি।
এ সময় তারা মানববন্ধন থেকে থিসিস জালিয়াতি ও নম্বর টেম্পারিং এর সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, রফিকুল ইসলাম নামে ফলিত গণিত বিভাগের এক শিক্ষার্থীর গবেষণাপত্র শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের কাছে যান। শাবিপ্রবির শিক্ষকের কাছ থেকে নম্বরপত্র আসলেও থিসিস জালিয়াতির বিষয়টি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাছে ধরা পড়লে তিনি নম্বরপত্র প্রদান করতে বিরত থাকেন। এতে করে ওই বর্ষের ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হয়। পরে বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক শামসুল আলম সরকার নিজে গিয়ে তার কাছে তদবির করে ওই শিক্ষার্থীর নম্বরপত্র হাতে হাতে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে রফিকুল ইসলামের গবেষণার টেবুলেশন শিট অবৈধভাবে খুলে নম্বরপত্র টেম্পারিং (নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া) করা হয়েছে বলে ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক শামসুল ইসলাম সরকার ও সহযোগী অধ্যাপক শামীমা খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে বিভাগের পরীক্ষা কমিটির সদস্য অধ্যাপক আব্দুল হক গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এসব কারণে ফলিত গণিত বিভাগের ১২তম ব্যাচের মাস্টার্সের পরীক্ষা এক বছর আগে শেষ হলেও ফলাফল আজো প্রকাশিত হয়নি।