রাজশাহী:ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএসএফের একজন সদস্য নিহত হয়েছেন বলে ভারতীয় মিডিয়ায় খবর বের হয়েছে। তবে রাজশাহী জেলা বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফটেনেন্ট কর্নেল ফেরদৌস মাহমুদ বিবিসিকে জানিয়েছেন, বিএসএফের সৈন্য নিহত হবার কোন তথ্য প্রমাণ পায়নি বিজিবি। তিনি বিবিসিকে বলেন, দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বিএসএফ দাবি করেছে তাদের একজন সৈন্য নিহত হয়েছে। কিন্তু আমরা এর কোন তথ্য প্রমাণ পাইনি। এখন দুই দেশই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবে। সীমান্তে কোন উত্তেজনা নেই জানিয়ে তিনি বলেছেন, বিজিবি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
ওদিকে, হিন্দুস্তান টাইমসের এক খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)-এর সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় এক কনস্টেবল নিহতের দাবি করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এছাড়া, আহত হয়েছে অপর এক বিএসএফ সদস্য।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে দশটার দিকে পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে এক বিএসএফ মুখপাত্র।
এদিকে, পদ্মায় মাছ ধরা প্রতিরোধ অভিযানে থাকা চারঘাট উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, প্রজনন মৌসুমের জন্য এখন নদীতে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ অবস্থায় জেলেরা যেন নদীতে ইলিশ শিকার করতে না পারে সে জন্য বিজিবি সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে নদীতে অভিযানে যায়। তারা দেখেন, পদ্মা-বড়ালের মোহনায় বাংলাদেশের সীমানার ভেতর একটি নৌকায় করে তিনজন ভারতীয় জেলে ইলিশ শিকার করছেন।
তিনি বলেন, তারা গিয়ে তাদের আটকের চেষ্টা করেন। এ সময় দুইজন পালিয়ে যান। আর একজনকে আটক করা হয়। এ সময় পালিয়ে যাওয়া জেলেরা গিয়ে বিএসএফকে বিষয়টি অবহিত করে। বিএসএফ সদস্যরা এসেই আক্রমনাত্মক আচরণ শুরু করে দেয়। পরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। বিজিবিও এর প্রতিবাদ জানিয়ে গুলি ছোড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গোলাগুলি হয়। একপর্যায়ে বিএসএফ সদস্যরা পিছু হটে। আরিফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার পর প্রনব মন্ডল নামের একজন ভারতীয় জেলেকে আটক করে বিজিবির চারঘাট করিডর সীমান্ত ফাঁড়িতে আনা হয়। জব্দ করা হয়েছে তার ইলিশ শিকারের জালও।