বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান গত বছরের চেয়ে দুই ধাপ নিচে নেমে গেছে। ২০১৯ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৮, গত বছরে যা ছিল ৮৬। অবশ্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান, ভারত ও আফগানিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো। তবে নেপাল, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে পিছিয়ে আছে।
ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট মঙ্গলবার চলতি বছরের বিশ্ব ক্ষুধা সূচক বা বিশ্ব ক্ষুধা সূচক প্রকাশ করেছে, তাতে ১১৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৮তম।
বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে চলতি বছর ২৫ দশমিক ৮ স্কোর পেয়ে বাংলাদেশের অবস্থান হয়েছে ‘তীব্র ক্ষুধাপীড়িত’ দেশের তালিকায়।
গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স তৈরি হয়েছে চারটি মাপকাঠিতে প্রতিটি দেশের পরিস্থিতি বিচার করে। অপুষ্টি, ৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে কম ওজনের শিশু, ৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে কম উচ্চতার শিশু, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যু- এই চারটি মাপকাঠিতে প্রতিটি দেশের স্কোর হিসাব করা হয়েছে ১০০ পয়েন্টের ভিত্তিতে।
চলতি বছরসহ ৫ বছরে অবস্থানে খুব সামান্য তারতম্য হলেও দীর্ঘমেয়াদী চিত্রে ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের ক্রমোন্নতির চিত্র। ২০০০ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ১০০’র মধ্যে ৩৬ দশমিক ১, অর্থাৎ ‘ভীতিকর’। এর ৫ বছর পর, ২০০৫ সালের সূচকে সেই স্কোর কমে ৩০ দশমিক ৭-এ দাঁড়ায়। অর্থাৎ বাংলাদেশ ‘ভীতিকর’ থেকে ‘তীব্র’ ক্ষুধাপীড়িত দেশের পর্যায়ে চলে আসে। আরও ৫ বছর পর অর্থাৎ ২০১০ সালে স্কোর সামান্য একটু কমে ৩০ দশমিক ৩ হয়। আর তারপর টানা ৯ বছরের ব্যবধানে এবারের সূচকে বাংলাদেশ পেল ২৫ দশমিক ৮।
ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট বলছে, বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে ধারাবাহিকভাবে। তারপরও বাংলাদেশ বৈশ্বিক অবস্থানে দুই ধাপ পিছিয়েছে কারণ অন্যদের উন্নতি ঘটছে আরও দ্রুত গতিতে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সূচকে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা। ১৭ দশমিক ১ স্কোর নিয়ে শ্রীলঙ্কার অবস্থান সূচকের ৬৬ নম্বরে। সাত দেশের মধ্যে ৩৩ দশমিক ৮ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা আফগানিস্তানের অবস্থান সূচকের ১০৮ নম্বরে। আর ভারত ১০২, পাকিস্তান ৯৪, নেপাল ৭৩ ও মিয়ানমার ৬৯ তম অবস্থানে রয়েছে।