রাতুল মন্ডল শ্রীপুর: কাজ করতে বড় অফিসার হতে হয় না, কথা গুলো বলছিলেন ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করা ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার মেদুয়ারী গ্রামের মোন্তাজ উদ্দিনের ছেলে কনস্টেবল শামছুল হক।
প্রায় দু’বছর হয় গাজীপুর জেলা পুলিশ থেকে বদলি হয়ে যোগদান করেন শ্রীপুর মাওনা হাইওয়ে থানায়।
যোগদানের পর থেকে একদিনের জন্য কাজে কোন রকম ফাঁকি না দিয়ে ব্যস্ততম শ্রীপুর পৌর শহরের মাওনা চৌরাস্তা ওড়াল সেতুর নিচে যানজট নিরসনের জন্য রোদ বৃষ্টি অপেক্ষা করে দায়িত্ব পালন করছেন নিষ্ঠার সাথে।
ঈদ বা অন্য কোন উৎসব সামনে রেখে ব্যস্ততম এই শহরের মানুষের চলাচলের রাস্তায় ছোট বড় যে কোন পরিবহন নিদিষ্ট জায়গায় দাঁড়াতে কাজ করেন সব সময়। বিশেষ করে ঈদ বা অন্য কোন উৎসবে এই শহরের মার্কেট গুলোতে কেনাকাটার ধুম পড়ে যায়। সকাল থেকে সন্ধ্যা কিংবা রাত পর্যন্ত কেনাবেচাও চলে মার্কেট গুলোতে। যে কারনে মাওনার ব্যস্ততম সড়ক ঢাকা ময়মনসিংহ সড়কে যানজট যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়ায় । এতে কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতা সাধারণকে যখন সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তখন যানজট নিরসনে কাজ করেন এই নির্বিক কনস্টেবল শামছুল হক।
কনস্টেবল শামছুল হক বলেন, আমার ডিউটির সময় অনেক প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধদের রাস্তা পারাপারে আমি সবার আগে ছুটে আসি। তাদের সাথে থাকা মালামাল নিজে কাঁদে করে নিরাপদে তাদের রাস্তা পার করে দেই।
প্রতিদিনের ন্যায় ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেল চারটার সময় মাওনা উড়াল সেতুর নিচে দেখা মিলল মোটা ট্রাফিক পুলিশের কটি গায়ে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে এক লাইন এক লাইন করে বেশ সুন্দরভাবে যানজট নিরসনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার ভঙ্গি দেখে যেনো মনে হচ্ছে কত বড় পুলিশ অফিসার। বিরামহীন ভাবে একজন দায়িত্বশীল ট্রাফিক পুলিশের বড় অফিসারের মতোই দায়িত্ব পালন করে চলেছেন কনস্টেবল শামছুল হক।
যানজট জনদুর্ভোগ নিরসনে স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসা এই ট্রাফিকের দায়িত্বপালন দেখে অনেকেই বলতে থাকেন সত্যিকারের ট্রাফিক গুলো এ ভাবে দায়িত্ব পালন করলে এই শহরে আর যানজট থাকবে না।