পাকিস্তানের প্রশংসা করে প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদা বলেছেন, আমাদের দেশের অনেকেই পাকিস্তানকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে পছন্দ করি। কিন্তু সেখানকার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক শক্তিশালী। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনই ঠিক করে দেয় তাদের দেশে সুষ্ঠ নির্বাচন হওয়ার জন্য কে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হবে। সব রাজনৈতিক দল তাদের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়।’
শনিবার রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স-বাংলাদেশে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) পঞ্চম জাতীয় সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা কিন্তু পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়েছিলাম তাদের চেয়ে ভাল থাকা বা করার জন্য। কিন্তু আমরা তা পারিনি। আমাদের দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক বিতর্কিত।’
দেশে এখন গণতন্ত্রের নামে নির্বাচিত অটোক্রেসি চলছে বলে দাবি করে শামসুল হুদা বলেন, ‘যারা নির্বাচন বয়কট করেছিল তাদের উচিত ছিল নির্বাচন কমিশনে নিয়োগপ্রাপ্তরা যোগ্য কি-না, তারা কোন ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছে এসব বিষয়ে আলোচনা করা। কিন্তু তারা সেটা করেনি। ফলে দেশে নির্বাচন হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের দুর্নীতি ও ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না। এমনকি মানুষের জন্ম ও মৃত্যু সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতেও আজ ঘুষ দিতে হচ্ছে। এ দেশের তৃণমূল পর্যায়ে ঘুষ এমনভাবে বিস্তার লাভ করেছে যেখানে সাধারণ মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন হলেও মানুষের দৈনন্দিন সেবার কোনো উন্নতি হচ্ছে না।’
সম্মেলনে সুজন সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান সভাপতিত্ব করেন। সম্মেলনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খান, ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল, পুলিশের প্রাক্তন আইজিপি শাহজাহান, রোবায়েত ফেরদৌস, ড. ইনাম আহমেদ চৌধুরী, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।