চুল-দাড়ি-গোঁফ নিয়ে সাত পরামর্শ

লাইফস্টাইল

image_168105.male-grooming-londonপুরুষের বেলায় নিজের চেহারাটিকে আকর্ষণীয় করতে চুল-দাড়ির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তাই মানানসইভাবে এগুলোর কাটছাঁট করতে কত গবেষণাই না করি আমরা। নিজের চেহারা ও অবয়বের সঙ্গে চুল-দাড়ি যদি না মানায়, তবে আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি হবে। এর কারণ, চুল-দাড়ি কামাতে গিয়ে ভুল করেছেন আপনি। এখানে জেনে নিন এমনই সাতটি সাধারণ ভুলের কথা, যা আপনার চেহারার সঙ্গে চুল-দাড়ি-গোঁফকে বেমানান করে দেবে।

১. এলোমেলো দাড়ি ও গোঁফ : বড় বড় দাড়ি ও গোঁফে কোনো সমস্যা নেই, যদি তা গোছানো ও পরিপাটি অবস্থায় রাখা যায়। তাই প্রতিদিনই দাড়ি ও গোঁফের আগা আপনার পছন্দমতো করে ছেঁটে নেওয়া প্রয়োজন। দুই দিন পর পর সেলুনে গিয়ে কাজটি করতে পারেন। আবার বাড়িতেও ইলেকট্রিক ট্রিমার দিয়ে কাজটি সারা যায়। কাঁচি ও চিরুনি ব্যবহার করে নিজেও হাত পাকিয়ে নিতে পারেন। যেভাবেই কাটুন না কেন, যেখানে গিয়ে দাড়ি-গোঁফের শেষ হয়েছে এবং খোলা ত্বক শুরু হয়েছে, সেখানে সুন্দর ফিনিশিং দিন। নয়তো বাজে দেখাবে আপনাকে।
২. অমসৃণ খোঁচা খোঁচা দাড়ি : ২০১২ সালে ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসের এক গবেষণা এবং ২০০৮ সালে নর্থহামব্রিয়া ইউনিভার্সিটির এক গবেষণাপত্রে বলা হয়, নারীদের কাছে পরিষ্কার ঝকঝকে মুখের চেয়ে খোঁচা খোঁচা দাড়ির চেহারা আকর্ষণীয় পুরুষ বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু এলোমেলো এবং অপরিপক্বের মতো ছোট দাড়ি মোটেও আকর্ষণ ছড়ায় না। খোঁচা খোঁচা দাড়ির মধ্যেও মসৃণতা রয়েছে, যা সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেবে।
৩. অগোছালো ভ্রূ : চোখের ওপরের বেমানান ভ্রূ জোড়া জ্বলজ্বলে চোখ জোড়াকেও মলিন করে দিতে পারে। পুরুষরা সাধারণত মেয়েদের মতো ভ্রূ প্ল্যাক করে না বা এদের খুব বেশি যত্ন নেয় না। তাই ভ্রূ জোড়া অন্তত গোছালো রাখা উচিত। নানা ধরনের অর্থপূর্ণ আবেগের লেনদেনে ভ্রূ জোড়া ব্যবহার করে মানুষ। তাই একে পরিপূর্ণ সৌন্দর্য প্রদান করা উচিত। সম্পূর্ণ পৃথক এবং পরিপাটি ভ্রূ দুটো ব্যবহার করে অন্যের সঙ্গে দারুণ যোগাযোগ স্থাপন করা যায়।
৪. নাকের চুল : এটি পরিমাণে খুবই কম, তাই এড়িয়ে যাওয়া খুব সহজ। কিন্তু সীমানা পেরিয়ে নাকের চুল সামান্য উঁকিঝুঁকি মারলেই আপনার ব্যক্তিত্ব ধুলায় লুটোপুটি খাবে। তাই এর কথা ভুল গেলে চলবে না। ট্রিমার দিয়ে মাত্র ৩০ সেকেন্ড ব্যয় করে নাকের চুল পরিষ্কার করে ফেলা যায়। লম্বা মানুষের জন্য এর প্রয়োজন বেশি। আপনি যত লম্বা হবেন, আপনার নাকের দিকে তত বেশি চোখ পড়বে সবার। তাই প্রত্যেক লম্বা মানুষের নাকের চুলের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৫. কানের চুল : নাকের চুলের তত্ত্ব কানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বেশির ভাগ মানুষের কানে তেমন চুল না থাকলেও যাদের রয়েছে তাদের বাড়তি খেয়াল দিতে হবে। ট্রিমার ব্যবহার করে এদের নিয়ন্ত্রণ করলে আপনার অবয়বে অরুচিকর কিছু খুঁজে পাবে না লোকে। কানের বাইরের দিকের এবং সহজে দেখা যায় এমন অংশের চুল পরিষ্কার করুন। এর বেশি গভীরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
৬. ঘাড়ের লোম : অনেকের ঘাড়ে বেশ লোম গজায় যা দৃষ্টিকটু। এগুলো চুল কাটার সময় এমনিতেই পরিষ্কার করে ফেলা যায়। এ ছাড়া কিছু সময় নিজেকেই হাল ধরতে হয়। ইলেকট্রিক রেজার বা ট্রিমার ব্যবহার করুন। ঘাড় পরিষ্কর না থাকলে দেখতে বিদঘুটে লাগে। ঘাড়ে বড় লোম মোটেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতীক নয়। শার্ট বা কোটের কলার ছাপিয়ে যখন লোম উঁকি দেবে, তখন যে স্টাইলই বেছে নেন তা মাটি হয়ে যাবে।
৭. কানের ওপর চলে আসা চুল : অনেকের কোঁকড়া চুল বা জুলফি কানের ওপর চলে আসে। এটা শুধু অসুবিধাজনকই নয়, দেখতেও সব সময় ভালো লাগে না। তাই কানের অংশটুকুতে একটু বাঁকা করে কাটতে হয়। এ কাজ এমনিতেই সেলুনে করে দেবে এক্সপার্ট নরসুন্দররা। কানের ওপর চলে আসা চুলগুলো ছেঁটে নিন। দেখতে ভালো লাগবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *