ঢাকা: পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, দেশে বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশে আনসার আল ইসলামের সদস্যরা সংগঠিত হতে চায়। তারা সারা দেশ থেকে কর্মী সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে। গতকাল ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে গতকাল ভোরে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন, মোহাম্মদ শাহিন ওরফে ওমর, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. আনিসুজ্জামান ওরফে বিপ্লব ও মো. আল মামুন।
সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার এই জঙ্গিরা তাদের সংগঠনের আদর্শ ও কথিত শায়েখের নির্দেশে ট্রেনিং ও দেশের বিভিন্ন জেলায় সদস্য সংগ্রহ করেছে। এই চারজনের নেতার নাম শাহীন আলম। সে সাউথ কোরিয়ার আংশু ইউনিভার্সিটির এভিয়েশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
সে একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করে। পরে এই গ্রুপের মাধ্যমে আনসার আল ইসলামের মুল নেতাদের সঙ্গে সংযোগ করে। দেশে ফিরে হিজরত করার জন্য কিছু লোককে উদ্বুদ্ধ করে। পরে তাদের নিয়ে সুন্দরবন করমজল এলাকায় একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। সেখান থেকে বান্দরবানের আলীকদম এলাকায় আরও একমাস প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এরপর তারা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যই ঢাকায় আসে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা গ্রুপ চ্যাটের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করত। দেয়া হত বিভিন্ন দিক নির্দেশনা। তিনি বলেন, মূলত তারা চাপাতি ব্যবহার করে। আগ্নেয়াস্ত্র থাকলেও ব্যবহার কম করেছে। বোমা ব্যবহারের প্রমাণ আমরা আগে পাইনি। সুন্দরবনের পর আলীকদমে তারা একটি জায়গা লিজ নেয়। সেখানে কফি শপের আড়ালে জঙ্গি কার্যক্রম চালাত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে বহিস্কার হওয়া মেজর জিয়ার সর্ম্পকে জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, মেজর জিয়া বর্তমানে নিষ্ক্রিয় আছে। এই সংগঠনের সঙ্গে তার কতটুকু যোগাযোগ আছে সেটা জানার চেষ্টা চলছে।