ঢাকা:ক্যাসিনোর মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিকদের অর্থ পাচার করার গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) পক্ষ থেকে ক্যাসিনো হোতাদের অর্থ পাচার ও মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধের তথ্য-উপাত্ত দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অবশ্য এ ব্যাপারে দুদকের কোনো কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজী হননি। দুদকের একটি সূত্র জানায়, চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ ও বিএফআইইউ প্রধান আবু হেনা মোহা. রাজী হাসানের সঙ্গে এক বৈঠক হয়। অর্থ পাচারসহ অবৈধ ব্যাংকিং নিয়ে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে। এ সময় বিএফআইইউ প্রধান চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে মানলিন্ডারিং সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্য দুদক চেয়ারম্যানের কাছে সরবরাহ করেছেন। এছাড়া ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মানিলন্ডারিংয়ের আর্থিক গোয়েন্দা তথ্যও অবহিত করেছেন। বৈঠকে সরকারি কর্মকর্তাদের মানিলন্ডারিংয়ের বড় একটি তালিকা নিয়ে তথ্য বিনিময় হয়।
এদিকে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য এ বৈঠকের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করলেও বিস্তারিত তথ্য জানাননি।
এর আগে গত ৭ই অক্টোবর ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন এমন ১৫ থেকে ২০ জনের তালিকা নিয়ে দুদক অনুসন্ধান শুরু করেছে বলে সাংবাদিকদের জানান দুদক চেয়ারম্যান। বলেন, ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন এমন অভিযোগে ১৫ থেকে ২০ জনের তালিকা দুদকের হাতে এসেছে। তাদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। যদিও ক্যাসিনো সংশ্লিষ্ট অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দুদকের কাজ নয়। শুধু অবৈধ সম্পদ অর্জনের অংশটুকু দুদকের তফসিলভুক্ত। গত ১লা অক্টোবর ক্যাসিনোর মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিকদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি। অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয় দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। এরপর সারা দেশে র্যাব ও পুলিশ অন্তত ৩৭টি অভিযানে প্রায় ৩০০ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন যুবলীগ ও কৃষক লীগের পাঁচ শীর্ষস্থানীয় নেতা।