ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেছেন, সন্তান হারানোর দুঃখ কি সেটা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। প্রত্যেকটা পরিবারের স্বপ্ন থাকে তার সন্তান বড় হয়ে সংসারের হাল ধরবে। পরিবারে আর্থিক উন্নয়ন ঘটাবে। যখন সেই সন্তানকে হত্যা করা, সেই পরিবারের সকল স্বপ্নেরও মৃত্যু ঘটে। চারিদিকে সবাই বিচার দাবি করে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। কিন্তু বিচার আর হয় না। বাংলাদেশের যে বিচারব্যবস্থা এখানে ন্যায় বিচার পাওয়া খুব কঠিন।
তাই আমি একজন সন্তানহারা বাবা হয়ে আবরারের বাবাকে বলব, বিচার হল কি হল না সেটা নিয়ে যেন তিনি যেন না ভাবেন। সর্বত্র যেন শুভ বুদ্ধির উদয় হোক এটাই শুধু আমরা কামনা করতে পারি।
তিনি বলেন, আসলে রাষ্ট্রের পরিচালনা ঠিক নেই। রাজনীতি দুর্নীতিগ্রস্ত। এই দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতির মধ্যে সরকার কোন কিছু ঠিক মত চালাতে পারছেনা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করছে না। যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে সেই সরকারের ছাত্রসংগঠনগুলো দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে উঠে। এর আগেও সরকারসমর্থনপুষ্ঠ ছাত্র সংগঠন কর্তৃক হত্যার ঘটনা ঘটেছে । এখন সরকারের ছাত্র সংগঠনগুলোর খরাপ ভূমিকা আরো বেড়ে গেছে। প্রতিটি হত্যাকান্ডের পেছনে সুনির্দিষ্ট কারণ থাকে। আবরারকে হত্যা করা হয়েছে ফেসবুকে ভারত বিরোধী স্ট্যাটাস দেয়ার কারণে। তার মৃত্যুর পর আবার তাকে বলা হলো সে শিবির করে।