ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন তার সহপাঠী থেকে শুরু করে সবাই। এমনকি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যথিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও ক্ষোভে ফুঁসে উঠেন। আবরার ফাহাদের দাফন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্পন্ন হয়। সোমবার রাত ১০টার দিকে ঢাকায় বুয়েট প্রাঙ্গণে আবরারের প্রথম জানাজা হয়েছিল। তখনও বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম ক্যাম্পাসে আসেননি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের সামনে আসেন উপাচার্য। এ সময় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়তে হয় তাকে। তবে হত্যাকাণ্ডের পর পর ক্যাম্পাসে না আসা এবং নিজ শিক্ষার্থীদের জানাজায় অংশ না নিলেও বুধবার কুষ্টিয়ায় আবরারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে রওনা হয়েছেন বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।
বুধবার সকালে তিনি কুষ্টিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ভিসির একান্ত সহকারী কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, উপাচার্য ও তার সফরসঙ্গীরা এখন রাস্তায় আছেন।
ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসের জেরে আবরার ফাহাদকে রোববাররাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর তাকে শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আবরারের বাড়ি কুষ্টিয়ায়।