ঢাকা: যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের কার্যালয় থেকে একটি পিস্তল, গুলি, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও দুটি বন্যপ্রাণীর চামড়া পাওয়া গেছে। আজ রবিবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে সম্রাটের কার্যালয়ে ঢুকে অভিযান শুরু করে। উদ্ধার অভিযানের পর তাকে কেরণীগঞ্জ কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আত্মগোপনে থাকা সম্রাটকে। তার সঙ্গে আরমান নামে তার এক সহযোগীকেও আটক করা হয়।
আজ রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় অভিযান শেষে এক জানাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ১ এর অধিনায়ক ও আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাসেম বলেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিরোবিরোধী অভিযান শুরু হয়। আজ এই অভিযানের ১৯তম দিন। আজ ভোরে আমরা সম্রাটকে গ্রেপ্তার করি। এর আগে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য র্যাবের বেশ কয়েকটি গোয়েন্দাদল মাঠে ছিল। কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তারের সময় তার প্রধান সহযোগী আরমানকেও আটক করা হয়। তবে তাকে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়া যায় এবং এ কারণে র্যাবের নির্বাহী হাকিম তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। এরপর সম্রাটকে নিয়ে ঢাকায় আসা হয় এবং তার কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান শেষে তার কার্যালয় থেকে একটি ৭.৬৫ বিদেশি অস্ত্র, একটি ম্যাগজিন, ৫ রাউন্ড গুলি, ১১৬০ পিস ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি বন্যপাণীর চামড়া, দুটি ইলেকট্রিক শক দেওয়ার মেশিন ও ২টি লাঠি জব্দ করা হয়।
অস্ত্র, মাদক ও বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার অপরাধে তার কী শাস্তি হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাবের নির্বাহী হাকিম সারোয়ার আলম বলেন, প্রথমত অবৈধভাবে বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার অপরাধে তাকে ৬ মাসের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হবে। এর পর তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা করা হবে। এর পর তার বিরুদ্ধে যদি আরো কোনো অভিযোগ থাকে তবে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য