হিমেল হাওয়া ও কনকনে শীতে ঢাকা ও আশেপাশের জনজীবন স্তবির হয়ে পড়েছে। কনকনে শীত আর ঘন কুয়শার প্রভাব ধনী গরিব সবার জীবনেই লক্ষণীয়। শীতকে সামাল দিতে সাধ্যমত চেষ্টা চলছে ছোট বড় সবার।
এদিকে গেল দুই দিন ধরে সুর্যের দেখা মিলছে না এ অঞ্চলে। সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে লক্ষণীয় হয়ে পরেছে শীতের প্রকোপ।
এসব এলাকার কৃষকদের মাঠে নামতে দেখা যাচ্ছে না বললেই চলে। খুব অল্পসংখ্যক কৃষককে মাঠে দেখা যায় দুপুরের দিকে। সরেজমিনে শীতের প্রভাব শুধু দেখাই যায়নি কথা বলেও জানা গেছে এ এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে।
ধামরাইয়ের ঢুলিভিটা এলাকার কৃষক রহমত আলী বলেন,‘‘শীতের কারণে মাঠে কাজ করতে পারতেছি না। বিছানা থেকেই উঠা মুশকিল হয়ে পড়েছে।’’
শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার বাইপাইলের এক রিক্সা চালক বলেন, ‘‘ভাই শীত বাড়ার কারণে রিকশা নিয়ে ১২টার দিকে বেড় হই। আয় কম হলেও সকালে রিক্সা চালানের উপায় নেই বলে জানালেন তিনি।’’
সাভার মাছ বাজারের জয়দেব নামের এক মাছ বিক্রেতা বলেন,‘‘শীতের কারণে মাছ বিক্রি করা কয়েক দিনের জন্য বন্ধ রেখেছি। জীবন না বাঁচলে টাকা দিয়ে কী করুম।’’
সাভার সেন্ট্রাল হাসপাতালের চেয়াম্যন ড. আবু তাহের নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন,‘‘বর্তমানে শীতজনিত রোগীর উপস্থিতি বেশি। শীতের কারণে, সর্দি, ঠান্ডা জ্বর, নিউমোনিয়াজনিত রোগের উপসর্গ বাড়তে শুরু করেছে।
শীতে জনসাধারনের পাশে সরকারের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান মোল্যা নতুন বার্তা ডটকমকে বলে,‘‘সরকারের পক্ষ থেকে ছিন্নমূল জনসাধারণকে শীত বস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে।”
তিনি জানান, ইতিমধ্যে সাভারের আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের কয়েকটি এলাকায় ঢাকা জেলার পক্ষ থেকে দশ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।