চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই তিন দিনের সফরে শনিবার ঢাকায় আসছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফরের প্রস্তুতি ও ভিত্তি রচনা করতে ওয়াং ই’র এ সফর বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
২০১৫ সালে বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে শিগগিরই ঢাকায় আসতে পারেন শি জিনপিং। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই দক্ষিণ এশিয়ায় দুই দেশ সফরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সফরে আসছেন।
ঢাকায় আসার পূর্বে শুক্রবার তিনি নেপাল সফরে যান। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হোয়া চোনায়িং জানিয়েছেন, ‘নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহেন্দ্র বাহাদুর পান্ডে এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর আমন্ত্রণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র এ সফর।
ওয়াং ই শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছবেন। রোববার সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সফরকালে তিনি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পৃথক সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গেছে। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
এছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গেও তার বৈঠক হবে। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার বেলা সোয়া ২টায় বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন। সদরকালে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে।
আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলো গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের ব্যাপারে হতাশা ব্যক্ত করার পর ওই নির্বাচনের ভিত্তিতে গঠিত বর্তমান সরকার কূটনৈতিক অঙ্গনে মূলত প্রাচ্যনির্ভর সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুনভাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর চীন সফর করেন। পশ্চিমাদের সঙ্গে টানাপোড়েনের এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে চীন বাংলাদেশের সঙ্গে বহুমুখী জোরালো সম্পর্ক জোরদারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ লক্ষ্যেই ২০১৫ সালে বছরব্যাপী জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করা হবে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪০ বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফর নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হতে যাচ্ছে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এবারের বাংলাদেশ সফরকালে বঙ্গপোসাগরের সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।