ঢাকা: ঘুষ খাওয়া আর ভিক্ষাবৃত্তির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, যাঁরা মনে করেন ঘুষ খেলে কেউ জানবে না, তাঁরা বোকার স্বর্গে বাস করেন।
আজ মঙ্গলবার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থার উপসহকারী পরিচালক থেকে উপপরিচালক পদমর্যাদার ৩০ জন কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ কর্মশালায় চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। অফিস শৃঙ্খলা, অফিসের নিরাপত্তা, কাজের গোপনীয়তা এবং অফিশিয়াল আচরণ–সংক্রান্ত বিষয়ে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনকে একটি স্মার্ট প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হলে কর্মকর্তাদের প্রতিটি কাজ হতে হবে সুনির্দিষ্ট, পরিমাপযোগ্য,অর্জনযোগ্য, প্রাসঙ্গিক ও সময়াবদ্ধ। এর বিচ্যুতি ঘটলে কমিশনকে যোগ্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করা কঠিন। কর্মকর্তাদের কর্মে এ বিষয়গুলোর প্রতিফলন থাকতে হবে। তাই আপনাদের আচার-আচরণ এবং কর্ম সম্পাদনে সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির কোনো বিকল্প নেই।
চেয়ারম্যান বলেন, কমিশনের অনুসন্ধান ও তদন্তের তথ্য ব্যবস্থাপনায় এমন কোনো সুযোগ রাখা সমীচীন হবে না, যাতে অপরাধীরা কমিশনের নথির গতিবিধি এবং আগাম তথ্য জানতে পারে। এভাবে কমিশনের তথ্য পাচার অফিস শৃঙ্খলাপরিপন্থী।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, নিজে পরিবর্তন না হলে, পরিণত মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন করা প্রায় অসম্ভব। তাই প্রতিষ্ঠানের স্বার্থেই নিজেকে নিজেই পরিবর্তন করুন। কমিশনের প্রতিটি কার্যক্রম টিমওয়ার্ক–সংশ্লিষ্ট। তাই কর্মকর্তাদের পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে হবে। সবাইকে অফিসের নিয়মকানুনও মানতে হবে। অভ্যন্তরীণ সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা রক্ষা করা অফিশিয়াল আচরণের অন্যতম ভিত্তি।