ডেস্ক: ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের সরকার বিতাড়নের জন্য ‘বাংলাদেশি’ এবং ‘অন্য বিদেশিদের’ শনাক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। অনেকে এটাকে আসামের নাগরিক নিবন্ধন তালিকা বা এনআরসির আরেক সংস্করণ হিসেবে দেখছেন।
আজ মঙ্গলবার এনডিটিভি অনলাইনে এটাকে প্রধান খবর হিসেবে প্রচার করা হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, উত্তর প্রদেশের পুলিশের মহাপরিদর্শক রাজ্যের সব জেলার পুলিশপ্রধানের কাছে পাঠানো চিঠিতে এই পদক্ষেপকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেছেন। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এই বিতাড়নের নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে এবং তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরদারিতে থাকবে।
কিছুদিন আগে আসামের এনআরসি প্রকাশের পর তা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। ওই তালিকায় ১৯ লাখ মানুষ নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। তাঁরা ভারতের নাগরিক হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করতে না পারলে দেশ থেকে বিতাড়নের মুখে পড়তে পারেন।
উত্তর প্রদেশ পুলিশকে জেলার শহরতলিতে পরিবহন অঞ্চল ও বস্তি এলাকায় অভিযান চালানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বলা হয়েছে।
‘বিদেশিদের’ ভুয়া কাগজপত্র তৈরিতে সহায়তাকারী সরকারি কর্মচারীদেরও শনাক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।
বাংলাদেশি বা অন্য বিদেশিদের আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে। পুলিশকে নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলতে বলা হয়েছে যে, তাদের শ্রমিকদের শনাক্ত সম্পর্কিত সব প্রমাণ রাখার দায়িত্ব তাদের নিজেদের।
গত মাসে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আসাম এনআরসির প্রশংসা করে বলেছিলেন, প্রয়োজনে নিজের রাজ্যেও তিনি এই ধরনের পদক্ষেপ নেবেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, আসামের পদক্ষেপটি ‘জাতীয় নিরাপত্তার’ জন্য জরুরি।
এনআরসি অনুসারে, আসামের বাসিন্দাদের মধ্যে যাঁরা প্রমাণ করতে পারবেন যে তাঁরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার এক দিন আগে ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চে যারা আসামে ছিলেন, তাঁরা নাগরিক বলে বিবেচিত হবেন।