ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেছেন, দেশে দুর্নীতি এবং কিছু কিছু অনাচার এত বেশি বেড়ে গেছে যে সরকারের পক্ষে চলা এখন কঠিন হয়ে গেছে। সরকার নিজের প্রয়োজনেই অভিযানের মত এই ধরনের কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। হয়তো এ ধরনের অভিযান আরো চালাবে। কিন্তু সমস্যা থেকে রাষ্ট্র ও জাতিকে মুক্ত করার জন্য যে রকম সুদূর পরিকল্পনা নেয়া দরকার সেটা তো নেয়া হচ্ছে না। এখন যেটা চলছে এটা তো দমননীতি। দমননীতি দিয়ে দুর্নীতি সাময়িকভাবে দমানো যায়, কিন্তু দূর করা যায় না। মানবজমিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয় না সরকার অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অভিযান বেশিদিন চালাতে পারবে।
সরকারি দলের ভিতর থেকেই অভিযান দমিয়ে ফেলার বা বন্ধ করার নানান চেষ্টা আছে। সরকার তো কোন আর্দশগত, নীতিগত বা দূরদর্শী অবস্থান থেকে কাজ করছে না। অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তাই কোন রকমে সফলতা আনার চেষ্টা করছে। অভিযানে যাদের ধরা হচ্ছে তাদের বিচার শেষপর্যন্ত হবে কিনা? এ বিষয়ে আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, দেশে যে পরিমাণে অপরাধ হচ্ছে কিন্তু সে হিসেবে সঠিক বিচার পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ন বিচারের ক্ষেত্রে কোন না কোন পক্ষ যারা শক্তিশালী সরকারিভাবে তারা যুক্ত থাকে। ফলে তারা বিচার পিছিয়ে নেয়া অথবা বিচার হতে দেয় না। এ ধরনের সমস্যা এই সরকার বা এই ধারার কোন সরকার দিয়ে সমাধান হবেনা। যথেষ্ট দেশপ্রেমিক, যথেষ্ট জাতীয়তাবাদী সরকার হলে এগুলো সমস্যা সমাধানে মনোযোগ দিতে পারতো। আমাদের শাসক শ্রেনীর সকলেই তাদের ছেলে-মেয়েদের বিদেশি নাগরিক করে ফেলেছেন। বাংলাদেশের প্রতি তাদের কোন আস্থা নেই। এধরনের সরকার সেটা আওয়ামী লীগ সরকারই হোক বা বিএনপি সরকারই হোক বিভিন্ন সময় যথার্থ সমাধানের দিকে তারা এগোয়নি। কোন রকম জোড়া দিয়ে তালি দিয়ে চলা।