ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের অর্থপাচার ও দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করে তা যাচাই-বাছাই করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন সংস্থাটির সচিব
মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত। দুদকের সচিব বলেন, গণমাধ্যমে দুর্নীতি সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যই কমিশন গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে। এ বিষয়েও কমিশন যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেবে।
জানা যায়, লন্ডনে চারটি কোম্পানি খুলে ব্যবসা করছেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। এসব প্রতিষ্ঠানে শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন তিনি। ক্যাসিনোসহ ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের অনেকের সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে। বিনিয়োগকারী ভিসায় গিয়ে নাজমুল এখন বৃটেনে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। অনুসন্ধানে নাজমুলের নামে বৃটেনের কোম্পানি হাউজে আবাসন, গাড়ির অ্যাক্সিডেন্ট ক্লেইম ম্যানেজমেন্ট, পণ্যের পাইকারি ব?্যবসা, বিজ্ঞাপন, চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান, সেবা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ধরনের ছয়টি কোম্পানির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে দুটি কোম্পানির পরিচালক পদে তার নাম নেই। বাকি চারটি কোম্পানির মধ্যে একটির একক পরিচালক এবং তিনটি কোম্পানির যৌথ পরিচালক হিসেবে আছেন নাজমুল। ২০১১ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি হন এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক হন সিদ্দিকী নাজমুল আলম। বর্তমানে নাজমুল আলম বিনিয়োগকারী ভিসায় যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। বৃটিশ সরকারের আইন অনুযায়ী, এই ভিসা পেতে ন্যূনতম ২ লাখ পাউন্ড (বাংলাদেশি টাকায় ২ কোটির বেশি) বিনিয়োগ করতে হয়। ফ্লেক্সফগ লিমিটেড, এলিট সিটি লিমিটেড, নাজ ইউকেবিডি প্রোপার্টিজ লিমিটেড, এসএনবি অটোস লিমিটেড, এসএনআর ইউকে বিডি লিমিটেড ও কার মিউজিয়াম লিমিটেড নামে ছয়টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নাজমুল যুক্ত আছেন।