ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের প্রশ্নই আসে না। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জনগণের সঙ্গে ভারতের আচরণের কারণে মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান না ইমরান, এমন কথাও বলেছেন তিনি।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিএনএনের প্রখ্যাত সাংবাদিক ক্রিশ্চিয়ান আমানপোরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ইমরান। ইমরানের সেই সাক্ষাৎকার শুক্রবার প্রচারিত হয়। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠকের প্রশ্নই আসে না। তিনি কেবল হিন্দু শ্রেষ্ঠত্ববাদে বিশ্বাসী। সব ধর্ম যে সমান, দেশে যে সংখ্যালঘুরাও থাকতে পারেন, এটাতে তিনি বিশ্বাস করে না।’
কাশ্মীরের জনগণের সঙ্গে যা হয়েছে, সেটি মোদির এমন মানসিকতার কারণে হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন ইমরান। মোদির উদ্দেশে করে তিনি বলেন, ‘মানুষ মানুষের সঙ্গে কীভাবে এমনটা করতে পারে?’
কাশ্মীর ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া না দেখানোয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও সমালোচনা করেন ইমরান খান। কেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে না, আমানপোরের এমন প্রশ্নের জবাবে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে বিষয়টির ভয়াবহতা বুঝতেই পারছে না। আবার অনেকে আছে, যারা বুঝেও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ভারতের বিশাল বাজারের দিকে একবার তাকান। প্রায় ১২০ কোটি মানুষের বাজার আছে সেখানে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মানুষের চেয়ে বাণিজ্যকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, এটি দুঃখজনক।’
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। মোদির কারণেই সেটি সম্ভব হচ্ছে না, এমনটিও বলেছেন ইমরান খান। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ বিষয়ে মধ্যস্থতা করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি। কিন্তু তিনি একাধিকবার মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলেও মোদি বারবার নাকচ করেছেন। কারণ, বিষয়টি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চলে গেলেই বিশ্ববাসী জেনে যাবে, কাশ্মীরের জনগণকে তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।’ এখন সম্ভব না হলেও কোনো একপর্যায়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কাশ্মীর ইস্যুতে সোচ্চার হবে, এমন আশাবাদও ব্যক্ত করেন ইমরান।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক যান ইমরান খান। সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।