কূটনৈতিক রিপোর্টার | ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের চলতি ৭৪তম অধিবশন উপলক্ষে গত ক’দিনে দুই প্রধানমন্ত্রীর একাধিক অনুষ্ঠানে দেখা-সাক্ষাৎ হলেও এই প্রথম তারা আনুষ্ঠানিকভাবে মুখোমুখি বসলেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুরে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে লোটে নিউ ইয়র্ক প্যালেস হোটেলের কেনেডি রুমে দুই শীর্ষ নেতার বৈঠক শুরু হয়। প্রায় পৌনে একঘন্টা স্থায়ী হওয়া বৈঠকে দুই নেতা দ্রুত বর্ধনশীল বাংলাদেশ-ভারত বহুমাত্রিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন। তাতক্ষনিক এক টুইট বার্তায় এমনটাই জানিয়েছেন দিল্লির বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রাভিশ কুমার। দিল্লির তরফে প্রচারিত সংবাদ আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মহাত্মা গান্ধির ওপর নিউইয়র্কের গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান পূননির্বাচিত হওয়ার পর বাংলাদেশেরর সরকার প্রধানের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে বসা মোদি। জবাবে শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনে অংশ নিতে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানান। বৈঠকে দুই দেশের বিদ্যমান বহুমাত্রিক সম্পর্ক ধরে রাখা এবং এই সম্পর্ক নতুন নিয়ে যেতে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়েও দৃঢ় অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন। নিরাপত্তা বিশেষত সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গীবাদ দমনে দুই নেতাই জিরো টলারেন্স নীতির বিষয়টি পূণব্যক্ত করেন।
বৈঠকে মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের জিডিপিসহ সর্বিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
তবে বৈঠকে চলমান এনআরসি, তিস্তার পানি বন্টন এবং কাস্মীরের মত সম-সাময়িক এবং বহুল আলোচিত বিষয়গুলো আলোচনায় স্থান পেয়েছে কি না তা প্রকাশ করেনি দিল্লি কিংবা ঢাকা। ঢাকার তরফে আগে ধারণা দেয়া হয়েছিল ভারতের আসামে চলমান এনআরসিসহ সম-সাময়িক প্রায় সব ইস্যুতেই দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হবে। আসামের নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি) নিয়ে ঢাকায় চরম অস্বস্তি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক সফরে যাওয়ার আগে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন জানান, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইড লাইনে এবং এবং আগামী ৫ই অক্টোবর নয়াদিল্লিতে হাসিনা-মোদি বৈঠক হবে। দুটি বৈঠকেই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ সব ইস্যু নিয়ে কথা হবে। সেদিন মোমেন বলেন, এনআরসি একান্তই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা এটাকে আমাদের সমস্যা মনে করি না। তবে এ নিয়ে ঢাকায় উদ্বেগ আছে। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকদ্বয়ে বিশদ আলাপ হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বৈঠকে দু’দেশের মধ্যকার যেসব ‘সমস্যা’ আছে তা নিয়ে কথা হবে।