সরকার দুর্নীতিবাজদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।
তিনি বলেন,আজকে যে প্রতিটা ক্ষেত্রে পতন ঘটেছে। এই পতনের কারণ হলো দেশে কোনো প্রতিনিধিত্ব সরকার নেই। যার কারণে আজকে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তাদের নিজেদের দলের নেতাকর্মীদের দুর্নীতি এমন প্রসার লাভ করেছে যাতে সরকার তাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এগ্রিকালচারিস্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এ্যাব বাংলাদেশ আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মওদুদ আহমেদ বলেন, ২৯ ডিসেম্বর যে নির্বাচন হয়েছে সে নির্বাচন সংবিধান সম্মত হয়নি। সেজন্য আমাদের দেশে আজ একটি জবাবদিহিতাহীন সরকার বিরাজ করছে।
তিনি বলেন,এই সরকারের নিয়ন্ত্রণ এখন আর নেই। সেটার প্রমান আমরা গত দুই সপ্তাহে পেয়েছি। শামীম, খালেদ আর সম্রাট এরা মাত্র তিনটি নাম, আরও শত শত নাম আছে এবং শত শত মানুষ আছে যুবলীগ করে যারা চাঁদাবাজি করে ক্যাসিনো চালায় এবং জুয়ারি আসর বসায় এরা কারা? তারাতো এই দলেরই নেতৃবৃন্দ।
তিনি বলেন, অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ করে দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিবেন। যে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্ব সরকার গঠিত হলেই এই নৈরাজ্য, চাঁদাবাজি, জুয়ারি, ক্যাসিনো দূর হবে। তাছাড়া এই সরকারের পক্ষে নিজেদের দলরয় লোকদের দুর্নীতি তারা দূর করতে পারবেন না। আজকে হয়তে খবরের কাগজে খুব ভালো করে ছাপানো হচ্ছে। দেখবেন কয়েকদিন পরেই এগুলো ধামাচাপা দিয়ে দেয়া হবে। এরা এতো প্রভাব শালি এদের সঙ্গে যেসকল এমপি মন্ত্রীরা জড়িত তাদের প্রভাবে শেষ পর্যন্ত এদের কিছুই হবে না।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্য বলেন, এই অবস্থার প্রেক্ষিতে আজকে সরকারের সবচাইতে বেশি প্রয়োজন দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। আর গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হলে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। বেগম জিয়া একটি বানোয়াট মামলায় মাত্র দুই কোটি টাকার অভিযোগ আজকে তাকে জেল খানায় থাকতে হচ্ছে। এক বছর সাত মাস হয়ে গেছে যেই যেই মামলায় তার সাতদিনের মধ্যে জামিন হওয়ার কথা আজ এক বছর সাত মাসেও তার জামিন হয় না। সরকারের রাজনীতির প্রভাবের কারণ আদালত সমুহ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না সেই জন্যই বেগম খালেদা জিয়া আজ জেলখানায়।
মওদুদ বলেন,বেগম জিয়াকে আইনের আওতায় রেখে মুক্ত করা সম্ভবপর হবে না আমরা অনেক চেষ্টা করেছি। কোন আদালতে বেগম জিয়ার জন্য কোন রকমের সুসংবাদ নেই। কারণ আদালতগুলোতে তারা সম্পূর্ণভাবে প্রভাযুক্ত করেছেন। সেজন্য রাজপথেই একমাত্র পথ। আন্দোলন করে বেগম জিয়াকে মুক্ত করার জন্য আমাদের সকল গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক শক্তিসমূহকে ঐক্যবদ্ধ হতে এই আন্দোলনেই বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হারুনুর-রশিদের সভাপতিত্বে এবং বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমেরর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপি’র যুগ্ন মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ওমর ফারুক, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ শামসুল আলম তোফা,স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভুইয়া জুয়েল,তাঁতী দলের যুগ্ন আহবায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ বক্তব্য দেন।