ডেস্ক | সেই ওসি মোয়াজ্জেমের পক্ষে আইনি লড়াই করবেন দুর্নীতি দমন কমিশনের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল। ফেনির মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় আলোচনায় আসেন সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন। নুসরাতের জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানোর মামলায় কারাগারে আছেন তিনি।
বুধবার ওসি মোয়াজ্জেমের পক্ষে আদালতে হাজির হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের এই আইনজীবী নেতা মোশাররফ হোসেন কাজল। একজন সাক্ষীকে জেরার জন্য সাইবার ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হলেও ওকালতনামায় তার নাম ও সই না থাকায় বিচারক তাকে জেরা করার অনুমতি দেননি। তবে আগামীতে সইসহ ওকালতনামা দাখিল করে ওসি মোয়াজ্জেমের পক্ষে মামলা পরিচালনা করবেন বলে আদালতকে জানান আইনজীবী কাজল।
এ সময় মামলার সাক্ষী সাংবাদিক আতিয়ার হাওলাদারকে জেরা করছিলেন মোয়াজ্জেমের পক্ষের আইনজীবী ফারুক হোসেন। আতিয়ার হাওলাদারের সাক্ষ্য শেষ ঘোষণা করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২রা অক্টোবর পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেন বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মামলার বাদী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন ও আসামি মোয়াজ্জেম হোসেন।
উল্লেখ্য, ফেনির সোনাগাজী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ দিতে থানায় গিয়েছিলেন ওই মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি। এসময় নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করে বিব্রত করে ভিডিও ধারণ করেন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। সেই ভিডিও পরবর্তীতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। পরে যৌন হয়রানির ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজ গ্রেপ্তার হলে মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধমকি দেয়া হয় নুসরাত ও তার পরিবারের সদস্যদের। শেষ পর্যন্ত ৬ই এপ্রিল মাদ্রাসার একটি ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে আগুন দেয়া হয়। পরে ১০ই এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হয়।
অন্যদিকে নুসরাতের ভিডিও ধারণ ও ছড়ানোর অভিযোগে গত ১৫ই এপ্রিল সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করা হয়। মামলার আবেদন করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এই মামলায় গত ১৬ই জুন বিকালে হাইকোর্ট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।