নিত্য বাজুক বজ্রবীণা, মানুষ জাগুক জয়ে- এই স্লোগানকে ধারণ করে শুরু হয়েছে লড়াই, সংগ্রাম ও গণসাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অন্যতম ধারক–বাহক সংগঠন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর উনবিংশতম জাতীয় সম্মেলন। শুক্রবার দ্বি-বার্ষিক এ সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বের শুরুতেই শহীদ বেদীতে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান উদীচীর কেন্দ্রীয় নেতারা।
শুক্রবার সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করার পর উদীচীর এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন ২০০৫ সালে নেত্রকোনায় উদীচী কার্যালয়ে মৌলবাদী প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর নৃশংস বোমা হামলায় নিহত শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত সহযোদ্ধারা।পরে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেনের রচনা ও নির্দেশনায় পরিবেশিত হয় গীতি আলেখ্য ‘মানুষ জাগুক জয়ে’।
উদ্বোধনী পর্ব শেষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে দোয়েল চত্বর, টিএসসি প্রদক্ষিণ করে পাবলিক লাইব্রেরিতে গিয়ে শেষ হয়।
সেখানে শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। উদীচী কেন্দ্রীয় সভাপতি কামাল লোহানীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর সরদার। এখানে আলোচনায় অংশ নেন– সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, ডা. ইমরান এইচ সরকার, প্রগতিশীল লেখক জাকির তালুকদার, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লাকী আক্তার।
অনুষ্ঠানে সম্মাননা দেয়া হয় শ্রমিক আন্দোলনের প্রবাদ প্রতীম পুরুষ জসিম উদ্দিন মণ্ডলকে।
আলোচনা সভার শেষে মধ্যাহ্ন বিরতির পর শুরু হয় সম্মেলনের সাংগঠনির পর্ব কাউন্সিল অধিবেশন। এ অধিবেশনটি উদীচীর তিন শতাধিক শাখা থেকে আগত প্রতিনিধি ও পযবেক্ষকদের জন্য সংরক্ষিত ছিল।
সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা পর্ব। এ পর্বে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লোক সংস্কৃতির পরিচায়ক নানা আঙ্গিকের পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসেন উদীচীর বরিশাল বিভাগ, চট্রগ্রাম বিভাগ এবং ঢাকা বিভাগের শিল্পীরা। এছাড়া ছিল দলীয় সঙ্গীত, দলীয় নৃত্য, আবৃত্তিকার জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ও বেলায়েত হোসেনের একক আবৃত্তি।