পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে তীব্র টানাপোড়েনের জেরে রাশিয়া তাদের সামরিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে দেশটি নতুন সামরিক কর্মপদ্ধতি প্রণয়ন করেছে। শুক্রবার নতুন এ পদ্ধতির অনুমোদনও দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়ার গতানুগতিক অপারমাণবিক সেনা কার্যক্রমকে সাধারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে নতুন এ সামরিক কৌশলে। এ ছাড়া প্রতিবেশী ইউক্রেন, মধ্যপ্রাচ্য ও আফগানিস্তান মস্কোর জন্য সবেচেয়ে হুমকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছেন রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিকল্পনাকারীরা। পূর্ব ইউক্রেনের সংঘাতপূর্ণ এলাকায় পুরোমাত্রায় সামরিক অভিযান চালানোর পক্ষে রাশিয়ার সেনাবাহিনী সেই বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে এতে।
ইউক্রেনের অস্থিতিশীলতা সুযোগে দেশটির ক্রিমিয়া অঞ্চলকে নিজেদের দখলে নেয় রাশিয়া। এ জন্য রাশিয়ার ওপর কঠোর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে পশ্চিমা দেশগুলো। আর এ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে তীব্র টানাপোড়েনের মধ্যে সামরিক কার্যক্রম নতুন করে ঢেলে সাজানোর পদক্ষেপ নিল ক্রেমলিন।
গত সপ্তাহে রাশিয়ার উচ্চপদস্থ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর দেশটির নিরাপত্তা কাউন্সিল নতুন সামরিক ক্রিয়াপদ্ধতি নিয়ে শুক্রবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ইউক্রেনের অস্থিতিশীলতা, উত্তর আফ্রিকা, ইরাক সিরিয়া ও আফগানিস্তান থেকে হুমকি আসার প্রেক্ষিতে রাশিয়া নতুন সামরিক পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। তবে এক্ষেত্রে পেন্টাগনের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো পূর্ব ইউক্রেনে ক্রমাগত সেনা বাড়াচ্ছে, যা রাশিয়ার স্বার্থের পরিপন্থী। এই অবস্থা মোকাবিলায় ক্রেমলিন যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে সচেষ্ট।