দুর্নীতির দায় নিয়ে এই সরকারের পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়য়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ ডিসেম্বর যাদের ব্যবহার করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা হয়েছে এখন তাদরে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার। যে কারণে এই ঘটনাগুলো ঘটছে। এই সরকারের নিজের দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সবকিছুই তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এখন এই সরকারের বৈধ কোন অধিকার নাই টিকে থাকার। তারা কনসাসলি দেশটাককে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এ কারণে সরকারে সমস্ত অরগানগুলো ভেঙে যাচ্ছে। একটা সরকার তখনই ব্যর্থ হয় যখন তাদের হাতে কোন প্রতিষ্ঠানে গ্রিফ বা নিয়ন্ত্রণ থাকে না।
তিনি আরো বলেন, কিছু দিন আগের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এমনভাবে কথা বলতেন মনে হতো দেশের সরকার বলতে শুধু তারাই। এখন দেখা যাচ্ছে তারা কথা খুব কম বলছেন। আর সরকারের লোকেরা বিশেষকরে যুবলীগের চেয়ারম্যান যে ভাষায় কথা বললেন তাতে তো তিনি সবাইকে জড়িয়ে ফেললেন। গত কয়েকদিন আগে আওয়ামী লীগের জোটের এক নেতা রাশেদ খান মেনন বলেছেন দুর্নীতি এখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। দুর্নীতি এখন উপর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর চকিদার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। যে যার খুশি মতো দুর্নীতি করছে। কেউই কিছু দেখছে না। এগুলো দেখার কেউ নেইও। কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই। এভাবে একটা রাষ্ট্র কোনোভাবেই চলতে পারে না। তাই সরকারের উচিত সকল দায়ভার কাঁধে নিয়ে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়া ।
ফখরুল আরো বলেন, শুক্রবার বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা দেখা করেছেন। তারা বলছেন ম্যাডাম অত্যন্ত অসুস্থ। তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে। গত ১৭ মাসে তার শরীরের অবস্থা সবেচেয়ে খারাপ যাচ্ছে। তিনি নিজে কোনো কিছুই করতে পারছেন না। ম্যাডাম অত্যন্ত অসুস্থ হওয়ার কারণেও তার পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেয়া হচ্ছে না। সরকার জেনে শুনেই তার মুক্তির বিলম্ব করছে।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন, ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ডক্টর আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান প্রমূখ।