ঢাকা:অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। পাশাপাশি তাঁরা মালিকানাধীন রাজধানীর ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থসহ ১৪২ জনকে আটক করেছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় গুলশান-২ এর নিজ বাসা থেকে খালেদ মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান শুরু করা হয় বিকেল সাড়ে চারটার দিকে।
খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি র্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাবের অপর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার সময় খালেদ মাহমুদের কাছে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। এর একটির লাইসেন্স নেই। অপরটির লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ।
রাজধানীর ফকিরাপুলে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার মালিকানাধীন ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালান র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম ও র্যাব-৩ এর একটি দল। র্যাবের অভিযানে ইয়ংমেনস ক্লাব থেকে ১৪২ জনকে আটক করা হয়েছে। আটক এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা সেখানে অবৈধ জুয়া ও মদ পানের আসর জমিয়েছিলেন।
সারওয়ার আলম বলেন, র্যাবের কাছে অভিযোগ আছে, এই ক্লাবে গত আট মাস ধরে অবৈধ আসর বসত। অভিযানের সময় তাঁরা দেখতে পান, ক্লাবের নিচ তলায় যন্ত্রের মাধ্যমে জুয়া খেলা (ক্যাসিনো) চলছে। এ ছাড়া জুয়া খেলার ফাঁকে ফাঁকে মদ পান হচ্ছে।
সারওয়ার আলম জানান, যারা এই ক্লাবে এসেছে তারা বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আটক ব্যক্তিদের মদ পানের লাইসেন্স নেই। তিনি জানান, ইয়ংমেনস ক্লাবেরও মদ বিক্রির লাইসেন্স নেই।
সারওয়ার আলম সন্ধ্যার পর আরও বলেন, এখন পর্যন্ত জুয়া খেলায় ব্যবহার হওয়া ২০ লাখ ৪৪ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা তাদের দোষ স্বীকার করেছেন। তাঁদের জেল-জরিমানা করা হবে। অভিযান আরও চলবে।
র্যাব সূত্র জানায়, দোতলা বিশিষ্ট ওই ক্লাবের নিচ তলায় ছিল ক্যাসিনো। আর পাশের একটি কক্ষে ছিল ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে জুয়া খেলার ব্যবস্থা। এই দুই জায়গা থেকেই ওই ১৪২ জনকে আটক করা হয়।