ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, সরকারি দলের ছাত্র সংগঠন যখন সরাসরি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে যায় তখন কমিটি ভেঙে নতুন করে গড়লেও সংকটের সমাধান হবে না। শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য নয় সরাসরি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়ায় ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা ঠিক কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকে কিভাবে। ছাত্রলীগ যেহেতু ছাত্রদের সংগঠন। ছাত্রলীগের ছাত্ররাই কমিটি ভাঙতে পারে এবং তারাই নতুন কমিটি গড়তে পারে। ছাত্রলীগ এখন ছাত্রদের সংগঠন নয় আওয়ামী লীগের অংশ হয়ে গেছে। এটি একটি অশনি সংকেত। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পে ছাত্রলীগকে অংশ দিতে হবে-এটা কবে থেকে চালু হলো? নিশ্চয় আনেক আগে থেকে চালু হয়েছে। এবার শুধু টাকার পরিমাণটা বেশি ছিল বলেই হয়তো নজরে এসেছে। দেশের ছাত্র রাজনীতি আজ কূলষিত। ছাত্রদের স্বার্থ নিয়ে তারা কাজ না করে সরাসরি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। ছাত্র রাজনীতিকে কূলষমুক্ত করতে হলে ছাত্র সংগঠনগুলো যেন কোনভাবেই প্রশাসনের সঙ্গে জড়িয়ে না পড়ে সেদিকে কঠোর নজর রাখতে হবে। এর দায়িত্ব যেমন প্রধানমন্ত্রীর আছে তেমনি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষেরও আছে।