ঢাকা: দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) পার্থ গোপাল বণিকের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ ইমরুল কায়েস এই আদেশ দেন।
এর আগে আজ পার্থ গোপাল বণিককে কারাগার থেকে ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়। তাঁর পক্ষে জামিন চেয়ে শুনানি করেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আইনজীবী কামরুল ইসলাম।
আর দুদকের পক্ষে জামিনের বিরোধিতা করে বক্তব্য রাখেন মোশাররফ হোসেন কাজল। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত পার্থ গোপাল বণিকের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
গত ২৮ জুলাই রাজধানীর ভূতের গলি এলাকায় পার্থ গোপাল বণিককে বাসায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে দুদক। দুদক সেদিন এই কারা কর্মকর্তার বাসা থেকে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করে দুদকের একটি দল।
গ্রেপ্তার করার পরদিন পার্থ গোপাল বণিককে ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে সেদিন পার্থ গোপাল বণিক আদালতের কাছে দাবি করেন, তাঁর বাসা থেকে দুদক যে টাকা উদ্ধার করা হয়েছে তা নিজের টাকা। এই টাকা তাঁর বেতন-ভাতার টাকা।
আদালত তখন পার্থ বণিকের কাছে জানতে চান, এ টাকা আপনি কোথায় পেয়েছেন? জবাবে পার্থ বণিক বলেন, ৩৯ লাখ টাকা তাঁর সঞ্চয়পত্রের টাকা। এই টাকা তিনি পোস্ট অফিস থেকেই তুলেছেন।
আদালত তখন জানতে চান, এই টাকা আপনি কি আপনার আয়কর বিবরণীতে দেখিয়েছেন? জবাবে পার্থ বণিক বলেন, এই টাকা আয়কর বিবরণীতে দেখানো হয়নি। তাঁর আইনজীবী ভুলবশত এ টাকা আয়করে দেখাননি।
পার্থ গোপাল বণিক বারবারই আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, দুদক পার্থ গোপাল বণিকের বাসা থেকে যে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে, তা ঘুষের টাকা, অবৈধভাবে উপার্জিত টাকা। পার্থ গোপাল বণিক একজন সরকারি কর্মকর্তা। তাঁর বছরে আয় ৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধান চলছে। তল্লাশি চালিয়ে তাঁর বাসা থেকে অবৈধভাবে উপার্জিত ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, সিলেটের ডিআইজি প্রিজনস পার্থ গোপাল বণিক ও জ্যেষ্ঠ জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিককে আজ সকাল ১০টা থেকে দুদক কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিলেটে দায়িত্ব পালনের আগে চট্টগ্রাম কারাগারে দায়িত্ব পালন করেন পার্থ গোপাল বণিক।