গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে আটকের পর সাংসদ ছবি বিশ্বাসকে হত্যাচেষ্টার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখাল পুলিশ। রাজধানীর বকশীবাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ ও সাংসদের ওপর হামলার ঘটনার একদিন পর তাকে গ্রেপ্তার করা হলো।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, ”শুক্রবার ভোরে গয়েশ্বর রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একজন এমপির ওপর হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আমরা আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানাব।”
বুধবার রাতে দায়ের করা ওই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আওয়াল মিন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল বারি হেলালসহ ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের আসামি করা হলেও সেখানে গয়েশ্বরের নাম ছিল না।
আর এমন এক সময়ে তাকে আটক করা হলো যখন গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম কলেজ মাঠে খালেদা জিয়ার জনসভা নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি ঘোষণায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা চলছে।
গাজীপুরে খালেদার জনসভা ঠেকাতে ছাত্রলীগের হুমকির জবাবে বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর বলেন, ”২৭ ডিসেম্বের আমরা গাজীপুর যাবই।… সেখানে আমাদের সমাবেশ করতে না দিলে সেদিন সারাদেশে সমাবেশ হবে। গাজীপুরে রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়া হলে সারাদেশে প্রতিরোধ গড়ে উঠবে।”
বিএনপি নেতা-কর্মীরা মামলার কারণে যে হয়রানিতে পড়েছেন, একদিন সেই পরিণতি আওয়ামী লীগকেও ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।
এ মামলায় বিএনপির আরো তিনজনকে ঢাকার তুরাগ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করার কথা বললেও তাদের পরিচয় মাসুদুর রহমান জানাতে পারেননি।
তিনি বলেন, আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের এক বছর পূর্তি সামনে রেখে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা হতে পারে বলেও তাদের কাছে তথ্য রয়েছে।
গয়েশ্বরের সহকারী আবদুল লতিফ জানান, ভোর ৬টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ সিদ্ধেশ্বরীর বাসায় এসে এই বিএনপি নেতাকে নিয়ে যায়। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মিন্টো রোডের গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে গয়েশ্বরের রায়েরবাজারের বাসায় পুলিশ তল্লাশি চালালেও ওই সময়ে তিনি বাসায় ছিলেন না। কাছাকাছি সময়ে শান্তিনগরে হাবিব-উন নবী খান সোহেলের বাসায়ও অভিযান চলে।
খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরাকে কেন্দ্র করে বুধবার বকশীবাজারে বিএনপি ও ছাত্রলীগকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এর মধ্যেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাসের ওপর হামলা চালিয়ে তার গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সাংসদ নিজে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
পুলিশ ও আওয়ামী লীগ এ ঘটনার জন্য বিএনপি ও ছাত্রদলকর্মীদের দায়ী করলেও বিএনপি তা অস্বীকার করেছে।
সংঘর্ষের পর বুধবার রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে শাহবাগ থানায় সাংসদকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়, যাতে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়।
আর সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ চকবাজার থানায় আরেকটি মামলা করে, যাতে ৭০ জন বিএনপি নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৩০/৪০ জনকে আসামি করা হয়।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, ”শুক্রবার ভোরে গয়েশ্বর রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একজন এমপির ওপর হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আমরা আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানাব।”
বুধবার রাতে দায়ের করা ওই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আওয়াল মিন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল বারি হেলালসহ ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের আসামি করা হলেও সেখানে গয়েশ্বরের নাম ছিল না।
আর এমন এক সময়ে তাকে আটক করা হলো যখন গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম কলেজ মাঠে খালেদা জিয়ার জনসভা নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি ঘোষণায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা চলছে।
গাজীপুরে খালেদার জনসভা ঠেকাতে ছাত্রলীগের হুমকির জবাবে বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর বলেন, ”২৭ ডিসেম্বের আমরা গাজীপুর যাবই।… সেখানে আমাদের সমাবেশ করতে না দিলে সেদিন সারাদেশে সমাবেশ হবে। গাজীপুরে রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়া হলে সারাদেশে প্রতিরোধ গড়ে উঠবে।”
বিএনপি নেতা-কর্মীরা মামলার কারণে যে হয়রানিতে পড়েছেন, একদিন সেই পরিণতি আওয়ামী লীগকেও ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।
এ মামলায় বিএনপির আরো তিনজনকে ঢাকার তুরাগ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করার কথা বললেও তাদের পরিচয় মাসুদুর রহমান জানাতে পারেননি।
তিনি বলেন, আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের এক বছর পূর্তি সামনে রেখে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা হতে পারে বলেও তাদের কাছে তথ্য রয়েছে।
গয়েশ্বরের সহকারী আবদুল লতিফ জানান, ভোর ৬টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ সিদ্ধেশ্বরীর বাসায় এসে এই বিএনপি নেতাকে নিয়ে যায়। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মিন্টো রোডের গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে গয়েশ্বরের রায়েরবাজারের বাসায় পুলিশ তল্লাশি চালালেও ওই সময়ে তিনি বাসায় ছিলেন না। কাছাকাছি সময়ে শান্তিনগরে হাবিব-উন নবী খান সোহেলের বাসায়ও অভিযান চলে।
খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরাকে কেন্দ্র করে বুধবার বকশীবাজারে বিএনপি ও ছাত্রলীগকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এর মধ্যেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাসের ওপর হামলা চালিয়ে তার গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সাংসদ নিজে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
পুলিশ ও আওয়ামী লীগ এ ঘটনার জন্য বিএনপি ও ছাত্রদলকর্মীদের দায়ী করলেও বিএনপি তা অস্বীকার করেছে।
সংঘর্ষের পর বুধবার রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে শাহবাগ থানায় সাংসদকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়, যাতে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়।
আর সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ চকবাজার থানায় আরেকটি মামলা করে, যাতে ৭০ জন বিএনপি নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৩০/৪০ জনকে আসামি করা হয়।
– কালের কণ্ঠ