ঢাকা:বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নতুন মোড়কে আসবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
রাব্বানী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর আর মাত্র চার মাস বাকি আছে। তার মধ্যে ভুলত্রুটি ঘুছিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নতুন মোড়কে আসবে।
সম্প্রতি উঠা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে রাব্বানী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের বিষয়ে সঠিক বার্তা পৌঁছেনি। আমাদের অবস্থান থেকে আমরা স্বচ্ছ আছি। যদি তিনি চান আমাদের বিষয়টি আমরা ব্যাখ্যা দিতে প্রস্তুত আছি। যা রটে তার কিছুটা ঘটে। তিনি আমাদের অভিভাবক, আমাদের মা। আশা করি প্রধানমন্ত্রী আমাদের ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
এদিকে, আজ দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীন প্রয়োজনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস জানায়, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে হল ছাত্রলীগ পরীক্ষার আগের রাতে হলে থাকার সুব্যবস্থা করবে, শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য বাংলা বাইক সার্ভিস চলমান থাকবে, পরীক্ষা কেন্দ্র পরিচিতির জন্য নির্দেশক চিহ্ন ও স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে, সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হবে, শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত অথচ কেন্দ্রে নেয়ার অনুপযোগী সামগ্রী রাখার ব্যবস্থা করা হবে, কলম ও আনুষঙ্গিক শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হবে, বিভিন্ন পয়েন্টে তথ্যকেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা হবে, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সরবরাহ করা হবে, অভিভাবকদের জন্য বিশ্রাম, হাতপাখা ও খাবার পানির ব্যবস্থা করা হবে, শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক সেবা প্রদানে হট লাইনের ব্যবস্থা থাকবে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘এবারের ভর্তি পরীক্ষায় কোনো ধরনের অসদুপায় ও জালিয়াতি হলে ছাত্রলীগ এর দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে।’
প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতি রোধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাশাপাশি অভিভাবক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন সাদ্দাম।
মেডিকেল ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল পাবলিক বিশ্বিবদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হওয়া উচিত কিনা এ সম্পর্কে ছাত্রলীগের মতামত জানতে চাইলে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব একটা স্বাতন্ত্র্য আছে। কিন্তু গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্বায়ত্তশাসন, স্বাতন্ত্র্য ও বৈচিত্র্য হারাবে।’
তিনি বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হলে দুর্নীতি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। ফলে গুচ্ছ পদ্ধতিতে একটি বুমেরাং হবে বলে ছাত্রলীগ মনে করে।’