ঢাকা: কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘কৃষকেরা ধান বিক্রি করে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় তাঁদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। এটি নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়নে কৃষকদের তালিকা তৈরি করে তা টানিয়ে দেব।’
সংসদে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন।
কৃষকদের তালিকা তৈরি করা হবে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ধান বিক্রির বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করছি। এটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। সরকার ধনী কৃষক, মধ্যম আয়ের কৃষক ও প্রান্তিক চাষিদের তালিকা তৈরি করবে। কৃষকদের তালিকার বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের জানিয়ে দেবেন। সরকার ধনী কৃষকদের কাছ থেকে ২০ ভাগ, মধ্যম আয়ের কৃষকদের কাছ থেকে ৩০ ভাগ ও প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে বেশির ভাগ ধান কিনবে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আশা করি এই পদক্ষেপ নিলে চাষিরা ধানের দাম আগের চেয়ে বেশি পাবেন। এতে বাজারেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। প্রধানমন্ত্রী নানাভাবে কৃষকদের সহযোগিতা করছেন। তাই ধান বা ফসল আবাদ করে তাঁরা ন্যায্যমূল্য পাবেন না এবং লাভবান হবেন না, এটা হতে পারে না।’
মজুরি খরচ বেশি হওয়ায় উৎপাদন খরচ বেশি হচ্ছে, উল্লেখ করে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা চাই কৃষক ন্যায্যমূল্য পাক। এটাই সরকারের নীতি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণে যাব। ধান লাগানো ও ধানকাটার যন্ত্রের দাম অনেক বেশি। আমরা ধান লাগানো ও কাটার যন্ত্র কেনার ক্ষেত্রে কৃষকদের ভর্তুকি দেব। এই মুহূর্তে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা উভয়সংকটে পড়েছি। আগে ধান উৎপাদন হতো না, দুর্ভিক্ষ হতো। এখন উৎপাদন বেশি হওয়ায় আমরা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছি। আশা করি আমরা ভবিষ্যতে সমাধান করতে পারব।’