রোহিঙ্গাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো মিয়ানমারের সেনাসদস্যদের বিচার আন্তর্জাতিক কোনো আদালতে করা হলে তা মিয়ানমার মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে সে দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত কিয়াও মোয়ে তুন।
আন্তর্জাতিক তদন্ত কাঠামো গুরুতর অপরাধে জড়ানো মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বিচারের অঙ্গীকার করলেও মিয়ানমার তা প্রত্যাখ্যান করেছে। মিয়ানমারের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত কিয়াও মোয়ে তুন এক বিবৃতিতে বলেন, তাঁর দেশ মিয়ানমারবিষয়ক জাতিসংঘের স্বাধীন সত্যানুসন্ধানী মিশন, আন্তর্জাতিক স্বাধীন তদন্ত কাঠামো প্রত্যাখ্যান করেছে। মিয়ানমার সরকার নিজেই তার দেশে জবাবদিহির বিষয়টি নিশ্চিত করতে আগ্রহী। আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি) বা বাইরের কারো তদন্ত ও বিচারের উদ্যোগ মিয়ানমার মেনে নেবে না।
এর আগে গত সোমবার মিয়ানমারবিষয়ক আন্তর্জাতিক তদন্ত কাঠামোর প্রধান নিকোলাস কোমজিয়ান তাঁদের কর্মকাণ্ড নিয়ে মানবাধিকার পরিষদে প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে বলেছিলেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলতে চাই—আমরা সব দেখছি। আমরা অপরাধের বিচার নিশ্চিত করব।’
এর পরদিনই মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মানবাধিকার পরিষদকে জানান, স্বাধীন সত্যানুসন্ধানী মিশন, আন্তর্জাতিক স্বাধীন তদন্ত কাঠামো সৃষ্টি করা—এগুলো জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের এখতিয়ারের বাইরে। মিয়ানমারের গণতন্ত্র, শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় এগুলো কোনো কাজে আসবে না। এসব কাঠামো ও মিশন সৃষ্টি করে বিপুল অর্থ অপচয় করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন : জাতিসংঘে মিয়ানমারের মিথ্যাচার, রাখাইনে ফিরতে আগ্রহ দেখাচ্ছে রোহিঙ্গারা!