ঢাকা: উচ্চশিক্ষায় ভর্তিতে সাধারণত বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে প্রথম পছন্দ থাকে মেডিকেল কলেজ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। এ জন্য উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতিও নেন। কিন্তু এবার মেডিকেল কলেজ (এমবিবিএস কোর্স) ও বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার ঘোষিত তারিখ নিয়ে বিপাকে পড়ছেন ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।
কারণ এবার মেডিকেল ও বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা হবে পরপর দুই দিনে। এর মধ্যে আগামী ৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির পরীক্ষা। দেশের ১৯টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে এই পরীক্ষা। এর ঠিক এক দিন পর ৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বুয়েটে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তির পরীক্ষা। এ জন্য অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ ও জমা নেওয়া শুরু হয়েছে গত ৩১ আগস্ট থেকে। ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদনপত্র পূরণ ও জমা দেওয়া যাবে।
একাধিক অভিভাবক ও ভর্তি–ইচ্ছুক পরীক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, মেডিকেলে ভর্তির পরীক্ষা হয় দেশের বিভিন্ন জায়গায়। আর বুয়েটের পরীক্ষা হয় ঢাকায়। এর ফলে যাঁরা ঢাকার বাইরের কেন্দ্রে মেডিকেল কলেজে ভর্তির পরীক্ষা দেবেন তাঁরা বড় সমস্যায় পড়বেন। যাতায়াতসহ বিভিন্ন কারণে তাঁদের অনেকের বুয়েটে পরীক্ষা দেওয়াই কঠিন হতে পারে।
একজন অভিভাবক প্রথম আলোকে বলেন, ধরা যাক একজন মেডিকেলে ভর্তি–ইচ্ছুক পরীক্ষার্থী চট্টগ্রাম কেন্দ্রে পরীক্ষা দিলেন। সেখানে তাঁর পক্ষে পরদিনই বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কতটা কঠিন, সেটা নিশ্চয়ই সবাই অনুমান করতে পারবেন। আরও একাধিক অভিভাবক প্রথম আলোকে তাঁদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে এখনো নতুন কিছু ভাবছে না বুয়েট কর্তৃপক্ষ। বুয়েটের ভর্তি কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক প্রাণ কানাই সাহা আজ রোববার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা অনেক আগেই বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছেন। এটি ঠিক হয়েছে উপাচার্যদের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভায়। এ জন্য বিষয়টি মেডিকেল কর্তৃপক্ষের ভাবা উচিত ছিল। বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে এখন নতুন কিছু বলা যাবে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও বলছে এখন তাদের কিছু করার নেই। অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক এ কে এম আহসান হাবীব রোববার প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের নিয়ে করা নির্ধারিত কমিটি মন্ত্রণালয়ে সভা করে মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষার দিনক্ষণ ঠিক করেছে। এখন আর কিছু করার ‘উপায়’ নেই।
অভিভাবকেরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কথা ভেবে বিষয়টি দুই কর্তৃপক্ষের পুনরায় ভাবা উচিত।
এদিকে এমবিবিএস ও ডেন্টালের ভর্তি পরীক্ষার কারণে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের মেডিকেল কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক এ কে এম আহসান হাবীব।