ডেস্ক: ময়মনসিংহ ও খুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। এর মধ্যে ময়মনসিংহে নিহত হাফিজুর রহমান (৩৫) পোশাক শ্রমিক ছিলেন। তিনিই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। হাফিজুর জেলার ত্রিশাল উপজেলার দরিরামপুর গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে। অপরদিকে খুলনায় নিহত নারীর নাম শাহিদা আক্তার (৫০)।
ত্রিশালের নিহত হাফিজুরের পরিবার জানায়, তিনি গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসার পর তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
হাসপাতালে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় বাড়ি চলে আসেন তিনি।
তবে মঙ্গলবার তার অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে ত্রিশালে টিএমসি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে মধ্যরাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে ঢাকা নেয়ার পথে আজ বুধবার ভোর ৫টার দিকে মারা যান হাফিজুর।
হাফিজুর রহমানের বন্ধু আতিকুর রহমান বলেন, তার আয় দিয়ে পরিবারের ৫-৬ জনের সংসার চলতো। স্ত্রী ছাড়াও ছোট ছোট ৪টি সন্তান রয়েছে। তার মৃত্যুতে গোটা পরিবারে অন্ধকার নেমে এসেছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. লক্ষ্মী নারায়ণ মজুমদার জানান, হাফিজুর নামে এক ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। জানামতে, তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে তার মৃত্যুর ব্যাপারে কোনো তথ্য জানা নেই আমাদের।
এদিকে, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (খুমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহিদা (৫০) নামে আরও এক ডেঙ্গু রোগী মারা গেছেন। আজ বুধবার ভোরে তিনি মারা যান। এ নিয়ে খুলনায় ৬ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হলো।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার পশারীবুনিয়া গ্রামের সাইদুর রহমানের স্ত্রী শাহিদা। তিনি গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টার দিকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। ডেঙ্গু ছাড়াও তিনি ডায়াবেটিস ও লিভারের রোগে আক্রান্ত ছিলেন।