সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক নেতা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। উপজেলার হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নের রতনকান্দি গ্রামে শনিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম, ওসমান গণি (৫৫)। তিনি হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নের এক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। সংঘর্ষে জড়িত দুই পক্ষই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সমাজ ভাগকে কেন্দ্র করে ওই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ পক্ষের সঙ্গে একই গ্রামের তারাব আলী পক্ষের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা চলে। এক পর্যায়ে শনিবার দুপুরের দিকে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়ায়। ওসমান আলী বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
আহতেরা হলেন, চেয়ারম্যান পক্ষের শামসুল আলম (৫০), রহিমা খাতুন (৫০) ও শরিফ উদ্দিন (২৫) এবং তারাব আলী পক্ষের হোসেন আলী (৫০), পালো শেখ (৩৫), আলম মিয়া (৪০) ও শুকুর আলী (৪৫)। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আহতদের মধ্যে শামসুল আলম ও হোসেন আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। শামসুলকে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের পার্শ্ববর্তী পাবনা সদর ও বেড়া উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, আধিপত্য নিয়ে নয়, রাজনৈতিক কারণে বিএনপির সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগের ওপর হামলা করেছে। চেয়ারম্যানের দাবি, প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁর সমর্থকদের ওপর আগে হামলা করে।
উপজেলা যুবলীগ নেতা এনামুল হক হিরা বলেন, স্থানীয় দ্বন্দ্বের জেরে এই সংঘর্ষ। এ ঘটনাকে রাজনৈতিক ঘটনা হিসেবে চালিয়ে কেউ কেউ বিশেষ ফায়দা নিতে চাচ্ছে।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় তারাব আলী ও এরশাদ নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। অভিযোগ পাওয়ার পর মামলা নেওয়া হবে।