ঢাকা: যাত্রীবেশে গাড়ি ভাড়া নিয়ে চালক বা মালিককে অপহরণ করতো চক্রটি। অস্ত্র দেখিয়ে জিম্মি করা হতো। তারপর অপহৃত ব্যক্তির পরিবারের কাছে দাবি করা হতো মুক্তিপণ। এই ভয়ঙ্কর চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৪’র অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক। তিনি জানান, রাজধানীর রূপনগরের শিয়ালবাড়ী মোড় থেকে এনায়েত উল্লাহর ভাড়ায় চালিত কারে মাদারীপুর যাওয়ার কথা বলে দু’জন যাত্রী উঠে। ঘটনাটি গত ১৯ শে আগস্ট সন্ধ্যা ৭টায়। পদ্মা নদী পার হয়ে রাত ২টায় কাঠালবাড়ী এলাকায় পৌঁছালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে গাড়ি থামানোর জন্য সিগনাল দেয় কয়েকজন। এসময় গাড়ি তল্লাশীর নামে প্রাইভেটকারটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় তারা। যাত্রী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়দানকারী ব্যক্তিরা একই চক্রের সদস্য বলে জানান তিনি।
অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক বলেন, এনায়েত উল্লাহর হাত-পা বেঁধে অপহরণপূর্বক মাদারীপুরের শিবচর থানাধীন দত্তপাড়া চর এলাকায় একটি ঘরে আটকে রাখে তাকে। প্রাইভেটকারটি ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানাধীন আটরশি জাকের মঞ্জিলের পার্কিংয়ে রাখে। এনায়েত উল্লাকে চার দিন ধরে আটকে রেখে নির্যাতন চালায় চক্রের সদস্যরা। মারধর করে মোবাইলফোনে এনায়েত উল্লাহর কান্নার শব্দ তার পরিবারের সদস্যদের শুনিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে তাকে হত্যার করার হুমকি দেয় চক্রের সদস্যরা।
এ বিষয়ে এনায়েত উল্লাহর ভাই কেফায়েত উল্লাহ রূপনগর থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। পরবর্তীতে র্যাব-৪ এর একটি দল মাদারীপুর জেলার শিবচর দুর্গম এলাকা থেকে শুক্রবার ভোরে এনায়েত উল্লাহকে ও প্রাইভেটকারটি উদ্ধারসহ অপহরণে জড়িত চার জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, শাহ জালাল (৩২), মো. ফয়সাল (২২), জয়নাল হাজারী (৩০) ও রাকিব (২২)।