সাভারে জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে লুটপাটের মামলা

Slider টপ নিউজ ঢাকা


সাভার: লুটপাট, ভাঙচুর, মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্যতম ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঢাকার আশুলিয়া থানায় মামলা হয়েছে। নাছির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি গতকাল বুধবার রাতে এই মামলা করেন।

মামলায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম, সমন্বয়ক আবদুল কাদের, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুস সালাম, আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র পিএইচএ ভবনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মর্তুজা আলীসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এই মামলায় ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক বলেন, পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে মার্কেট গুঁড়িয়ে দিয়ে লুটপাট করা হয়েছে। মামলায় যাঁদের আসামি করা হয়েছে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সঙ্গে তাঁদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

মামলার বাদী নাছির উদ্দিন সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক। তিনি আশুলিয়ার নলাম এলাকার বাসিন্দা।

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, আশুলিয়ার বাঁশবাড়ি মৌজায় নাছির উদ্দিন ও তাঁর ভাই আবু বক্করের ১৬ শতাংশ জমি আছে। ওই জমিতে তাঁদের পিতা হাজি এফাজ উদ্দিনের নামে একটি মার্কেট রয়েছে। ওই মার্কেটে একটি হোটেলসহ ২০টি দোকান রয়েছে। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা গত মঙ্গলবার গভীর রাতে হামলা চালিয়ে হোটেলসহ ১৪টি দোকান ভাঙচুর করেন। এতে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ২টি এসি, ৩টি ফ্রিজ, ১টি এলইডি টেলিভিশন, ৯টি সিলিং ফ্যান, সাউন্ড সিস্টেম, স্বর্ণের চেইন ও নগদ অর্থ লুট করেন। এ ছাড়া ওই জমিতে গেলে জমির মালিকদের হত্যা করার হুমকি দেন আসামিরা। এজাহারে বলা হয়, হামলার সময় হোটেলের মালিক সাজ্জাদ হোসেনকে আটক করে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করা হয়। আসামিরা সাজ্জাদের গলা চিপে ধরে হত্যা চেষ্টা চালান।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, নাছির উদ্দিন ‘বিশেষ সময়ে’ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমির অবস্থান পাথালিয়া মৌজায়। নাছির উদ্দিনের মালিকানাধীন জমির অবস্থান বাঁশবাড়ি মৌজায়।

হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগের বিষয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলায় যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা উদ্দেশ্যমূলক ও মিথ্যা। কারা হামলা করে মার্কেট ভেঙে দিয়েছে তা তাঁদের জানা নেই।

মামলার বাদী নাছির উদ্দিন বলেন, তিনি যেখানে মার্কেট নির্মাণ করেছেন ক্রয় সূত্রে তাঁরা দুই ভাই এর মালিক। মালিকানার সপক্ষে তাঁদের সব কাগজপত্র রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *