বিচারের জন্য বিশেষ আদালত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। এই আদালতের নেতৃত্বে থাকবেন সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা।
গত ১৬ ডিসেম্বর পেশোয়ারে স্কুলে তালেবান হামলার ঘটনার পর ঘোষনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। ওই হামলায় ১৩২ স্কুলশিশুসহ ১৪৫ জন নিহত হয়েছিল।
বুধবার সন্ত্রাস দমনে জাতীয় অ্যাকশন প্ল্যান তৈরির বিষয়ে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ । বৈঠকে উপস্থিত বিভিন্ন দলের নেতারা এই বিশেষ আদালত প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে একমত হন।
বৈঠক শেষে বুধবার রাতে টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিচার ত্বরান্বিত করতে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের পরিচালিত বিশেষ আদালত স্থাপন করা হবে। আগামী দুই বছরের জন্য ওই আদালত পরিচালিত হবে।’ এর জন্য প্রচলিত আইনে পরিবর্তন আনা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পেশোয়ারে তালেবান হামলার ঘটনা উল্লেখ করে নওয়াজ শরিফ বলেন,‘পেশোয়ারে হামলার ঘটনা জাতিকে শোকাহত করেছে। আমাদের শিশুদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না।’ পেশোয়ারে সন্ত্রাসী হামলা পাকিস্তানকে বদলে দিয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরো বলেন,‘পাকিস্তান বর্তমানে এক বিশেষ পরিস্থিতির মুখোমুখি। এ পরিস্থিতিকে বিশেষভাবে মোকাবেলা করতে হবে। এ মুহূর্তে আমরা যদি কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারি তবে, ইতিহাস কখনোই আমাদের ক্ষমা করবে না।’ সামরিক আদালত প্রতিষ্ঠার এই সিদ্ধান্তকে পাকিস্তানের জন্য একটি ঐতিহাসিক অর্জন হিসেবেও উল্লেখ করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
তিনি পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমরা নিশ্চই এধরনের আর কোনও দুর্ঘটনা প্রত্যক্ষ করার আগেই সত্যিকারভাবে জেগে উঠবো।’
অতীতে বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতার সুযোগে এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েও হামলাকারীরা শাস্তি থেকে রেহাই পেয়ে গেছে বলেও সাবেক সরকারগুলোর সমালোচনা করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।