আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্টা বার্ষিকী। এই উপলক্ষে সারাদেশে প্রত্যেকটি ইউনিটে র্যালি করবে দলটি। আজ সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে সাংবাদিক এ কথা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আমরা যে শোভাযাত্রাটি করবো সেটাকে শুধু প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রা হিসেবে দেখতে চাই না। অবরুদ্ধ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম হিসেবে সেটাকে সামনে আনতে চাই। আমরা দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটক রাখা হয়েছে সেটাকেও সামনে আনতে চাই।
ফখরুল বলেন, বিএনপি নিঃসন্দেহে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। তারা গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারে জন্য লড়াই করছে। গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি যতটা ত্যাগ স্বীকার করেছে কোনো লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে হয় না। বর্তমানে এক লাখ মামলায় ২৬ লাখ নেতাকর্মী আসামি। শত শত নেতাকর্মী গুম-নিহত হয়েছেন। বিএনপিকে প্রতি মুহূর্তে মামলা মোকদ্দমা নিয়ে চলতে হচ্ছে। এমন অবস্থায়ও এখন পর্যন্ত বিএনপির একজনও মানুষ দল ছেড়ে অন্য কোনো দলে যোগ দেয়নি। আমরা বিশ্বাস করি, বিএনপির নেতৃত্বে এদেশে আবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে সত্যিকার অর্ধে জনগণের সংসদ ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে যা থাকছে: ০১ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টায় নয়াপল্টন কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ১০টায় শের-ই বাংলা নগরে জিয়ার মাজারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করা হবে। দলের পক্ষ থেকে পোস্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় আলোচনা সভার তারিখ ও স্থান পরে জানানো হবে। সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন ও স্থানীয় সুবিধাজনক সময়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে।
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে যৌথসভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিলকিস জাহান শিরিন, অংগ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সম্পাদকরা।