ডেস্ক: বিজেপির সাবেক একজন বিধায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন তার পুত্রবধু। এই মামলা গ্রহণ করেছে দিল্লি পুলিশ। বিজেপির ওই নেতার নাম মনোজ শোকিন। অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর রাতে অর্থাৎ এ বছর ১লা জানুয়ারি অস্ত্রের মুখে ওই পুত্রবধুকে ধর্ষণ করেন মনোজ। নির্যাতিত পুত্রবধু এ মর্মে পুলিশ স্টেশনে উপস্থিত হয়ে তার শ্বশুর মনোজের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মনোজ নঙ্গলোই আসন থেকে দু’বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।
পুলিশের সূত্রমতে, নির্যাতিত পুত্রবধু তার অভিযোগে বলেছেন, ২০১৮ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর তিনি তার স্বামী, ভাই ও এক কাজিনের সঙ্গে পিত্রালয় ত্যাগ করেন। তারা যাচ্ছিলেন মীরাবাগে শ্বশুরবাড়িতে।
তাকে বাড়ি নেয়ার পরিবর্তে তার স্বামী নিয়ে যায় পশ্চিমবিহারের একটি হোটেলে। অভিযোগে ওই পুত্রবধু বলেছেন, যখন আমরা হোটেলে পৌঁছি, সেখানে বর্ষবরণের জন্য পরিবারের আরো অতিথিকে দেখতে পাই। পার্টি শেষে রাত সাড়ে বারটার পরে ১লা জানুয়ারি আমরা চলে যাই মীরাবাগে আমার শ্বশুরবাড়ি। বাড়ি যাওয়ার পর বন্ধুদের সঙ্গে আমার স্বামী বাইরে চলে যান। আমি ঘুমাতে চলে যাই। রাত দেড়টার দিকে আমার শ্বশুর আমাকে ডাকেন। কিছু বিষয়ে আলোচনা আছে এমনটা বলে তিনি দরজা খুলতে বলেন।
এরপর তিনি দরজা খুলে দেন। তার শ্বশুর ঘরে প্রবেশ করে। ওই পুত্রবধু বলেন, তিনি ঘরে প্রবেশ করে আমার শরীর উ™£ান্তের মতো স্পর্শ করা শুরু করেন। এ সময় তিনি ছিলেন মদ্যপ। তাকে বাধা দিয়ে আমি ঘুমাতে যেতে বলি। কিন্তু তিনি সঙ্গে থাকা অস্ত্র বের করেন। আমাকে থাপ্পর মারতে থাকেন। হুমকি দেন আমার ভাইকে হত্যা করবেন। আমি এলার্ম বাজাতে গিয়েও পারলাম না। ফলে তিনি আমার ওপর শক্তি প্রয়োগ করলেন এবং আমাকে ধর্ষণ করলেন। কিন্তু এতদিন পরে এসে কেন তিনি এ কথা ফাঁস করছেন, মামলা করছেন। এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, আমার বিয়ে ও ভাইকে বাঁচাতে চেয়েছি প্রথমে। তাই আমি শ্বশুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া থেকে বিরত ছিলাম।
ওই পুত্রবধু আরো জানিয়েছেন, তার শ্বশুরপক্ষের বিরুদ্ধে সাকেট কোর্টে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ (সিএডব্লিউ) সেলে গৃহ সন্ত্রাসের মামলা আছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে তার বিয়ের পর পরই তিনি এই মামলা করেছিলেন। তার ভাষায়, এ বছর ৭ই জুলাই সিএডব্লিউ সেল হয়রান করে আমার মা ও পিতাকে। এ প্রেক্ষিতে সাকেট পুলিশ স্টেশনে একটি মামলা করা হয়েছে। বুধবার আমি সাকেট কোর্টে হাজির হই গৃহ সন্ত্রাস বিষয়ক মামলায়। সেখানে নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাত করি আমার বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য। সংশ্লিষ্ট অফিসার আমাকে ও আমার পরিবারকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেন। এরপরই আমি ওই অফিসার ও আমার পিতামাতার সঙ্গে আমার ওপর চালানো নির্মমতার বর্ণনা দিই।