নতুন বছর শুরুর এক সপ্তাহ আগেই বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য ৯৮ শতাংশ পাঠ্যবই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বাকি বই দু-এক দিনের মধ্যে পৌঁছে যাবে বলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা গেছে।
মাধ্যমিক স্তরের শতভাগ বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছালেও প্রাথমিকের সব বই পৌঁছায়নি।
তবে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে সব উপজেলায় বই গেলেও স্কুল পর্যায়ে বই যেতে আরো কয়েক দিন সময় লাগবে। এর ফলে ১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক উৎসবের দিন সব শিক্ষার্থীর হাতে বই দেওয়া সম্ভব হবে না।
জানা গেছে, ১ থেকে ২ শতাংশ বই পাঠানো বাকি থাকলেও দু-এক দিনের মধ্যেই তা পাঠানো সম্ভব হবে।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিয়া বলেন, উপজেলা পর্যায়ে ১-২ শতাংশ বই পৌঁছাতে বাকি আছে। কাল-পরশুর মধ্যে সব উপজেলায় বই পৌঁছে যাবে।
এবার চার কোটি ৪৪ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য ৩২ কোটি ৬৩ লাখ ৪৭ হাজার বই ছাপানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনসিটিবি চেয়ারম্যান।
২০১৫ শিক্ষাবর্ষে ৫০ নম্বরের নবম শ্রেণির জন্য ‘ক্যারিয়ার শিক্ষা’ বইটি আবশ্যিক হিসেবে রয়েছে।
শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩০ ডিসেম্বর শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে পাঠ্যপুস্তক উৎসবের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১ ডিসেম্বর রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় যৌথভাবে বই উৎসব উদযাপন করবে।
এবার ভারতের একটিসহ মোট ২১টি লটে ২৩৮টি প্রতিষ্ঠান বই ছাপানোর কাজ করেছে।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, ভারত থেকে ওই লটের ১ কোটি ১৯ লাখ বইও এসেছে। বই ছাপানোসহ থানা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানোর জন্য টেন্ডার করা হয়।
এনসিটিবির ১০টি মনিটরিং টিম ও সরকারের ছাড়পত্র পাওয়ার পর বই পাঠানোর অনুমতি মেলে।
থানা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বই পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়। উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিদ্যালয়গুলো বই নিয়ে যায়।
গত জুন থেকে বই ছাপানোর কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম আরো বলেন, ৫-৬ মাস যেন ভালোভাবে বই সংরক্ষণ করা যায় সে জন্য পেস্টিসাইড, ফরমালিনের খরচও দেওয়া হয়।