ঢাকা: বিরোধী দলীয় মত, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, পুলিশের হেফাজতে নির্যাতন-মৃত্যু নিয়ে বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি বিবিসি বাংলার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এক শ্রেণির মানুষ হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং এরা সেই মানুষ যারা সারাক্ষণ খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আমাদের পেছনে লেগেই আছে।
এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, আমার কাছে এটা পরিষ্কার যে, এখানে প্রধানমন্ত্রী সত্য কথা বলেননি। কারণ, আমাদের পত্র-পত্রিকা, আমাদের যে মানবাধিকার গ্রুপগুলো রয়েছে এবং তাদের যে রিপোর্ট আমরা পেয়েছি, এমনকি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্ট থেকে আমরা দেখেছি যে, প্রতি বছর জুডিশিয়াল কাস্টডিতে মৃত্যু হচ্ছে। বিশেষ করে গত বছর চারশ’ ৩৫ জনের মতো জুডিশিয়াল কাস্টডিতে তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে হত্যা করা হয়েছে। এর আগের বছরও হয়েছে।
তিনি বলেন, হেফাজতে টর্চার তো কমন ব্যাপার। এর আগেও সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। আমাদের অনেক নেতাকর্মী আছেন, যাদের পায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করা হয়েছে। সুতরাং প্রধানমন্ত্রী একেবারে অবলিলায় অস্বীকার করলেন, এটা হয় না। আমার মনে হয়, এটা সঠিক নয় তো বটেই, এটা সত্যের অপলাপ ছাড়া কিছুই নয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের প্রকৃত যে চিত্র নির্যাতন বাংলাদেশে নির্যাতন সরকারিভাবেই চলছে এবং সরকার বিরোধী মত ও যারা ভিন্নমত পোষণ করে তাদের উপরে অত্যাচার-নির্যাতন আরো বেশি করে চালাচ্ছে। আপনারা দেখেছেন যে, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আলোকচিত্রী শিল্পী শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তার করে অত্যাচার করা হয়েছে এবং কাস্টিডিওতে নেওয়ার পরে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে তার সাথে নির্মম আচরণ করা হয়েছে।
সর্বক্ষেত্রে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে, তাহলে আপনার সরকারই উসকানি দিচ্ছে ভিন্নপথে যাওয়ার। যেটা আমরা মনে করি একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য কখনোই ভালো নয় বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল।