সকল বিমানবন্দর, স্থলবন্দর, নৌ ও সমুদ্রবন্দরসমূহে এক্সস্ট্যান্ডের মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে বিশেষ সতর্কতা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রাজধানী ঢাকায় ক্রমবর্ধমান ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ মোকাবিলার লক্ষ্যে নিয়মিত আলোচনা সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় ঈদের ছুটিতে যারা ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে যাবেন তাদের করণীয় বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বাড়ি, অফিস, সকল প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের টয়লেটের হাই এবং লো কমোড ঢেকে দিয়ে যেতে হবে। রেফ্রিজারেটরের ট্রে-এর পানি ফেলে শুকিয়ে রেখে যেতে হবে।
এয়ার কন্ডিশনারের পাইপের পানি সহ যে কোন পানি পরিষ্কার করে রেখে যেতে হবে। বালতি, বদনা, হাড়িপাতিল, ড্রাম, গামলা, ঘটি-বাটি ইত্যাদির পানি ফেলে পরিষ্কার করে উল্টিয়ে রেখে যেতে হবে। বারান্দা ও বাসার ছাদের উপর রাখা ফুলের টবের ট্রের পানি ফেলে পরিষ্কার করে উল্টিয়ে রেখে যেতে হবে। পানির ট্যাংকের ঢাকনা বন্ধ করে রেখে যেতে হবে।
ঈদের ছুটিতে সকল সরকারি বেসরকারি হাসপাতালের হেল্প ডেস্ক খোলা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ঈদের দিন কমিউনিটি ক্লিনিকেরকমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডারগণ (সিএইচসিপি) অন-কল এ চিকিৎসা কাজে দায়িত্বরত থাকবেন। স্থানীয় কোন রোগীর যে কোন সমস্যায় সিএইচসিপিদের প্রদানকৃত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করবেন। ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণে মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং চালু থাকবে।
বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটি-এর সহযোগিতায় ২৬টি জেলার সিভিল সার্জন ও সংশ্লিষ্ট আরএমও, মেডিসিন ও শিশু বিশেষজ্ঞের অংশগ্রহণে ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণে সরকারি হাসপাতালসমূহে ৩৪০টি আইসিইউ বেড ও ৩৩৫ টি ডায়ালাইসিস ইউনিট চালু আছে।
এছাড়াও বেসরকারি হাসপাতালসমূহেও এই সেবা চালু আছে। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা, এমআইএস’র পরিচালক ডা. সমীর কান্তি সরকার, হাসপাতাল সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট-এর লাইন ডিরেক্টর ডা. সত্যকাম চক্রবর্তী, জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিস বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূিচর ডেপুটি ম্যানেজার ডা. এমএম আকতারুজ্জামান প্রমুখ।